বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর আমানত ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। ফলে তিন মাসের ব্যবধানে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত আমানত কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ বা ১১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা।
আমানত কমলেও ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর শেষে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ছিল ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২২১ কোটি টাকা, ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা।
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে আমানত কমার তথ্য এমন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে, যখন দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশসহ কয়েকটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রাহকেরা আমানত তুলে নিয়েছেন। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ তারল্যসুবিধা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংককে। এ ছাড়া ঋণ তদারকি জোরদার করতে ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এসব ব্যাংক যাতে তারল্যসংকটের কারণে বিপদে না পড়ে, এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ সুবিধাও চালু করেছে।
তবে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রথম আলোকে বলেন, তারল্য নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে। এখন দৈনিক ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা উত্তোলন হলে ২ হাজার কোটি টাকা জমা হচ্ছে। যেসব গ্রাহক টাকা তুলে নিয়েছিলেন, তাঁরা আবার টাকা জমা করছেন।
দেশের ইসলামি ধারার ব্যাংক রয়েছে ১০টি। এগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড। এ ছাড়া ১১টি ব্যাংকের ২৩টি শাখা ও প্রচলিত ব্যাংকের ৫৩৫টি শাখায় ইসলামি ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে।