কিন্তু তাইজুল এখানেই থেমে থাকলেন না। একে একে তুলে নিলেন সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলী, ফাওয়াদ আলম, হাসান আলী, সাজিদ খান ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। ৭ উইকেট নিয়ে এটি পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে তাইজুলের দ্বিতীয় ৫ উইকেট-কীর্তি। টেস্ট-ক্যারিয়ারে এটি তাঁর নবম ৫ উইকেট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে ফ্লাইট আর টার্নের দুর্দান্ত প্রদর্শনীই যেন আজ তাইজুলের।
২০২১ সালে এখনো পর্যন্ত ৮ ইনিংস বোলিং করে ২৭ উইকেট তাইজুলের। চট্টগ্রাম টেস্ট ধরলে এ বছর নিজের পঞ্চম টেস্টটি খেলতে নেমেছেন তিনি। গত এপ্রিলে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসে দুইবার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে সংগ্রাম আর দুর্বল পারফরম্যান্সের ভিড়ে বল হাতে তাইজুলে যেন ব্যতিক্রমই একজন।
২০১৪ সালে অভিষেকর পর এখনো পর্যন্ত ৪০টি টেস্টও (৩৪ টেস্ট) খেলা হয়নি তাইজুলের। ৩২.৫৩ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১৩৮টি। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কিংস্টাউনে ৫ উইকেট নিয়ে শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ার। অভিষেকের বছরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় ৩৯ রানে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন, সেটিই তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান।