২৯ ডিসেম্বর ২০২২
মোহাম্মদ শাহ্ আলম
রাষ্ট্রীয় সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। গণতন্ত্র, কল্যাণ রাষ্ট্র, কিংবা কল্পিত বা ধারনাগত ইসলামী রাষ্ট্র যাই হোক না কেন। রাষ্ট্র সংস্কারের দৃক-দৃষ্টিহীনতা শুধু ইসলামপন্থীদের নয়, সেক্যুলার রাজনীতিকদের মধ্যেও বাংলাদেশে প্রকট সমস্যা, এ বিষয়ে তারা জন্মান্ধ বলা যেতে পারে। গণতন্ত্রের ধারনাও অসম্পূর্ণ। ফলে উপনিবেশিকতা থেকে তিন সিকি শতাব্দী আগে মুক্ত হলেও বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষে এক বিন্দুও এগুতে পারেনি। অধিকন্তু, উপনিবেশিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো যেটুকু সেবাপরায়নতা ও জবাবদিহিতা ধারণ করতো সেটাও সাবেক সাম্রাজ্যের প্রজাদের মধ্য থেকে নবোত্থিত লিখিয়েপড়িয়ে নব্য উচ্চবর্গের রাজনীতিকদের প্রভুত্ববাসনা ও ক্ষমতাউন্মত্ততার (megalomania) বলি হয়েছে। তাদের অনৈতিক চতুরতাপূর্ণ টেম্পারিংয়ের ফলে সেই সামান্য জবাবদিহিতা ও সেবাপরায়নতা বিলুপ্ত হয়ে বিকৃত, কদাকার, দুর্নীতিগ্রস্ত, ঘৃণ্য সামন্তবাদী চরিত্র ধারণ করেছে। ফলে বিচারহীনতা, কর্তৃত্বপরায়নতা, জবাবদিহিতাহীনতা, দৌরাত্ম্য, জনহয়রানিমূলক আচরণ প্রকট রূপ ধারণ করেছে প্রশাসন ও জননিয়ন্ত্রণ দায়িত্বে নিয়োজিত অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। সামাজিক নিয়ন্ত্রণী কলকব্জা-আইন, পুলিশ, জেল, বিচারাঙ্গন ইত্যাদি পীড়ন, পেষণ ও দমন যন্ত্র।
রাষ্ট্রীয় দফতরের চেয়ার এবং তদসংশ্লিষ্ট দায়িত্ব ও জনজবাবদিহিতা ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিরঙ্কুশ ও অপ্রতিহত ক্ষমতা হিসেবে ভোগ করতে থাকে দাফতরিক অবস্থানকে। প্রথাগত এই বিকারপ্রাপ্ত রাজনীতি সমূলে বিনাশ ছাড়া অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে আশা করা যায় না। এ রাজনীতির বিনাশও রাতারাতি সম্ভব নয় ঠিক, তবে একটি প্রক্রিয়া শুরুতো করতে হবে। তরুণ নাগরিকদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলন এ দুটি ঘটনা প্রক্রিয়া শুরুর জন্য একটা বড় ঝাঁকুনি দিয়েছে, যে ঝাঁকুনি রাজনীতিকদের নাড়া দিয়েছে অবশ্যই। ২৭ দফায় যাই থাকুক, রাষ্ট্রসংস্কার করতে হবে এই কথাটা আসল। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সততা ও নিষ্ঠাপূর্ণ উপলব্ধি থেকে হোক কিংবা ঠেলায় পড়ে হোক অন্তত শব্দটা তারা গ্রহণ করেছেন।
২৭ দফার ঘোষণাপত্রে একাধিকবার “দেশপ্রেম” শব্দের ব্যবহার আছে। ভূমিকায় বলা হয়েছে, “দেশপ্রেমের শপথে উজ্জীবিত কঠিন জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার” কথা। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ পরিষেবার কথা বলা আছে ১১ নম্বর দফায়। দেশপ্রেম কি! দেশপ্রেম ব্যক্তি-নিষ্ট আবেগ। ব্যক্তির মত, অনুভূতি ও বিবেচনা বোধ। জাতীয়তাবোধের অঙ্কুর, কিন্তু এর নির্বিবাদী সংজ্ঞা ও পরিমাপক নাই। নিতান্তই ভাবাবেগ সর্বস্ব ধারনা। যা ছুঁয়ে দেখা, গজ-ইঞ্চি বা দাঁড়িপাল্লায় পরিমাপযোগ্য কিছু না। ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক প্রভাব, বোধ, আবেগ আসক্তির বিষয়। ল্যেভ তলস্তয়তো দেশপ্রেমের ধারনাকে বেয়াকুপি এবং অনৈতিক ধারনা বলে দাগিয়েছেন। দেশপ্রেম আবেগে তাড়িত ব্যক্তিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দেশকে শ্রেষ্ঠ বলে বিশ্বাস করে যা বাস্তবে সত্য নয়। এ জন্য এটা বেয়াকুপি ধারনা। এ জন্য অনৈতিক যে দেশপ্রেমের নামে নিজ দেশের স্বার্থ হাসিলে পরদেশ আগ্রাসন আক্রমণ চলতে উদ্বুদ্ধ করে। রাজনীতিতে দেশপ্রেমের ব্যবহার নিয়ে বেশ নিন্দামন্দ আছে। সেমুয়েল জনসনের দৃষ্টিতে, “দেশপ্রেম বদমাশদের শেষ আশ্রয়স্থল” ছাড়াও অসকার ওয়াইল্ড দেশপ্রেমকে দেখেছেন virtue of the vicious হিসেবে, যা fanatical, malicious extreme, এবং justifies bigotry, xenophobic sentiment and criminality. ৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন সেটা ছিলো যোদ্ধাদের দেশপ্রেম। যারা পাকিস্তানের অখণ্ডতার জন্য লড়াই করেছেন সেটাও ছিলো তাদের দেশপ্রেম। দুটিই কিন্তু দুই প্রান্তিক দেশপ্রেম। রাজনীতিতে জনতাকে উদ্দীপিত করতে আবেগ সঞ্চারী বাগ্মিতা, বালাগাত বা রেটরিক জাতীয় ফেনায়িত ভাষা শব্দের দরকার আছে। রাষ্ট্রীয় পলিসি ও কর্মপ্রণালীতে এ জাতীয় শব্দ কোন অর্থ বহন করে না।
ভাষার অবিবেচনাপূর্ণ খেয়ালি ব্যবহার বাংলাদেশের রাজনীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য। আক্রমণাত্মক, হিংসাত্মক, তুচ্ছার্থক, সংঘাতে উস্কানিমূলক শব্দের অপরিমিত অবিমৃশ্যকারী ইস্তেমাল নিত্যদিনের অনুশীলন। সে কারণে রাজনীতির ভাষা প্রসঙ্গে আরো কিছু কথা বলা প্রয়োজনবোধ করি। সমাজের রূপ নির্মাণে এবং জনমানস পরিগঠনে ভাষার অবদান অপরিসীম। “পলিটিক্যাল” ভাষা ও সংজ্ঞা নির্মিত হয় পলিটিসিয়ান, গণমাধ্যম এবং প্রাগ্রসর আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন নাগরিক সমাজের হাতে। সেই ভাষা ও সংজ্ঞা নির্মাণে এই তিন বাংলাদেশে চরমভাবে ব্যর্থ। বরং দাস্যমনোবৃত্তি সম্পন্ন প্রচারমাধ্যম এবং কথিত বুদ্ধিজীবী(!) নাগরিকরা সমাজে দাসত্বসূলভ হীনমন্য মূল্যবোধ সঞ্চারে ভূমিকা রেখে চলেছে। অথচ হবার কথা ছিলো কালক্রমে নাগরিক ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক নাগরিক চেতনার প্রসার ও সমুন্নতি। হয়নি।
রাষ্ট্রক্ষমতার পরিচালক (state power operator) নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ কর্তৃক নিযুক্ত সরকারী দাফতরিকগণ যে ক্ষমতা ও রাষ্ট্র কোনটার মালিক নয়, সর্বোচ্চ নির্বাহী দায়িত্বপ্রাপ্ত জনগণের চাকর (পাবলিক সার্ভেন্ট) মাত্র সেটা জনগণকে ভুলিয়ে দেবার ভুলিয়ে রাখবার উপায় হিসেবে রাষ্ট্রাচার ও শব্দমালার কৌশলী ব্যবহার জারি আছে। রাষ্ট্র ও ক্ষমতার প্রকৃত মালিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের করে রাখা হয়েছে দলিত, দমিত, ভীত ও সংকুচিত। রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে যে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত (elected) ও নিয়োগপ্রাপ্ত (employed) জনগণের চাকর – ভদ্র ভাষায় সেবকদের কাছ থেকে জনগণ সমীহ ও সম্মান পাবার কথা সেই জনকেই সম্ভাষণে, সম্বোধনে ও ভঙ্গিতে সমীহ দেখাতে হয় তাঁদেরই অর্থে বেতনভুক তাঁদেরই সেবকদের। কি লজ্জাকর!
রাষ্ট্রীয় পলিসি, বিধিগত কাঠামোকর্ম, সংবিধিবদ্ধ সেবা, পরিসেবার নীতিমালা, কর্মপরিধি, কর্মপ্রণালী, এসব ক্ষেত্রে তরল, ব্যক্তিনিষ্ঠ, ভাব ও ধারনাগত, অনির্দিষ্ট ও অপরিমাপযোগ্য শব্দ থাকতে পারে না। এতে থাকতে হবে তুল্য, পরিমাপ ও প্রমিতিযোগ্য সুনির্দিষ্ট বার্তা ও বিবরণ প্রকাশক শব্দ। যার বিপরীতে কৃতি (performance), কর্ম (work), কর্তব্য (duty) ও দায় (responsibility) তুল্য, পরিমাপ ও নিরূপণযোগ্য হয়। এ জন্য চাই সুস্পষ্ট, উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য প্রকাশক ব্যক্তি-নিষ্ট অনপেক্ষ, সর্বজনবোধ্য, সুনির্দিষ্ট অর্থবোধক শব্দ ও পরিভাষা। সালঙ্কারিক ধ্বনি ও বাকসর্বস্ব শব্দ দিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতি বা জননীতি (public policy) হয় না।
আমরা গত কিস্তিতে বলেছিলাম দ্বিতীয় কিস্তিতে আমরা সংস্কারের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরবো। এ প্রস্তাব শুধুমাত্র বিএনপির উদ্দেশ্যে নয়, রাষ্ট্র মেরামত – রাষ্ট্র সংস্কারের আওয়াজ নিয়ে ইতোমধ্যে নতুন কিছু পলিটিক্যাল পার্টি রাজনীতির মাঠে নেমেছেন। তাদের উদ্দেশ্যেও আমাদের এ প্রস্তাব। মনে রাখা দরকার যে কোন প্রস্তাব, প্রণালীই পরম ও চূড়ান্ত নয়। কালিক, দৈশিক, সামাজিক ও সাধ্য-সংগতি প্রেক্ষিতে পরিবর্তন ও পরিমার্জনশীল।
সংস্কারের জন্য সর্বাগ্রে যে বিষয়টা করা দরকার সেটা হলো দেশের রাজনীতিকদের জন্য সারণী (memo) হিসেবে রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্রে যুক্ত করতে হবে এবং এটি আমাদের এক নম্বর প্রস্তাব: রাজনৈতিক নির্বাহী কর্তৃত্বে নিয়োজিত (প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীসভা) ব্যক্তিবর্গ জনগণের প্রভু নন, রাষ্ট্রের মালিক নন। তাঁরা রাষ্ট্রের তহবিলের ভাতা/বেতনভুক জনসেবক (পাবলিক সার্ভেন্ট) মাত্র। রাষ্ট্রের নাগরিক বা জনগণের প্রতি সমীহ পোষণ করা, সর্বাবস্থায় জবাবদিহি থাকা তাদের নৈতিক ও আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। জনগণ রাষ্ট্রের মালিক হেতু জনগণের কোন সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও তার পারিষদবর্গকে একক বা সন্মিলিতভাবে মাননীয় বলতে বাধ্য করা যাবে না। (এখানে বন্ধনীতে বলতে চা, উন্নত ও গণতন্ত্রের দেশগুলোতে রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্রে লেখা না থাকলেও এটাই ঐতিহ্য ও সাধারণ চর্চা)। জানি, ক্ষমতা খায়েশে আচ্ছন্ন ও ক্ষমতাউন্মাদ রাজনীতিকদের মাথায় বাড়ি পড়বে এ প্রস্তাব দেখে। তবুও প্রত্যয় নিয়ে আগামীর বাংলাদেশে এটা হতেই হবে। দেশের তরুণ প্রজন্মের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক চেতনা ও নাগরিক মর্যাদাবোধ ক্রমবিকাশমান। তারা এটা অর্জন করবেই।
২৭ দফার পর্যালোচনা দিয়ে শুরু করলেও আমাদের প্রস্তাবগুলোতে ২৭ দফার ক্রম অনুসরণ আমরা করছি না। দ্বিতীয় প্রস্তাবে আইন, বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশ সার্ভিস নিয়ে বলবো: আইন ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠন শুরু করতে হবে অসঙ্গত ও উপনিবেশিক ফৌজদারি আইনের বিলোপ দিয়ে। অপরাধ তদন্ত ও অভিযোগ গঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের যথোপযুক্ত আইনি প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। সনাতনী রাজনৈতিক পুরস্কারের পদবী বিতরণের এটর্নি ও পিপি নিয়োগ প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে। পাকিস্তানী জামানায় যা সাময়িক বা এডহক ব্যবস্থা যা চালু হয়েছিলো। গঠন করতে হবে দক্ষ, যোগ্য, যথোপযুক্ত স্বাধীন স্থায়ী প্রসিকিউশন সার্ভিস। প্রসিকিউশন সার্ভিস হবে রাজনীতিমুক্ত দক্ষতাপূর্ণ স্থায়ী সংস্থা।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ প্রসিকিউশন সার্ভিসের সাথে সঙ্গত ও সমন্বিত ভাবে কাজ করবে। মামলা দায়ের আদালতে অভিযোগ দিতে হলে গ্রেফতারকৃত বা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণাদি প্রসিকিউশন সার্ভিসকে আগে দিতে হবে। অভিযোগ, তথ্য, সাক্ষ্য প্রমাণাদি মামলার জন্য যদি প্রসিকিউশন সার্ভিস যথেষ্ট মনে করেন তবে পুলিশ মামলা দেবে, নচেৎ সাধারণ অভিযুক্তকে জামিনে ছেড়ে দেবে। গায়েবি মামলা ও অনির্দিষ্ট গয়রহের বিরুদ্ধে মামলার প্রথা বাতিল করতে হবে।
পুলিশের আচরণ বিধির গণতন্ত্রায়ন করতে হবে এবং কঠোরভাবে বলবৎ করতে হবে। রাজনৈতিক আনুগত্যমুক্ত করে বিধিবদ্ধ নিয়মের অধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠন করতে হবে। সর্বোচ্চ নির্বাহী তথা রাজনৈতিক কর্তৃত্বের ইচ্ছা, তুষ্টি ও খেয়াল এবং আনুকূল্য ও অনুকম্পা নির্ভর তথাকথিত পদোন্নতি পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। বাতিল করতে হবে বদলি প্রথা।
পুলিশ বাহিনীর নীতি বিচ্যুতি, গর্হিত কাজ, অপরাধ তদন্ত ও প্রতিকারের জন্য স্বাধীন পেশার নাগরিক দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পুলিস কমপ্লেইন্টস কমিশন গঠন করতে হবে।
সর্বোপরি ১৮৬১ সালের ইন্ডিয়ান ইম্পেরিয়াল পুলিশ এক্টের অধীনে নিরোধ, নিবর্তন ও দমনের লক্ষ্যে গঠিত উপনিবেশিক মূল্যবোধের পুলিশ বাহিনীর আমূল সংস্কার বা পুনর্গঠন করে নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জনগণের সম্পদ, সম্ভ্রম, প্রাণের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে পুলিশ সার্ভিস গঠন করতে হবে। ১৬১ বছরের পুরোনো, সাম্রাজ্য উপনিবেশের প্রজাপীড়ন প্রজা দমনের জন্য গঠিত সশস্ত্রবাহিনীকে জনগণতান্ত্রিক স্বাধীন রাষ্ট্রের সেবক বাহিনী হিসেবে আমূল রূপান্তর করতে হবে এবং উপনিবেশিক সাংগঠনিক কাঠামো ভাঙতে হবে। ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে উনিশ শতকের কোম্পানি পুলিশ ও ইম্পেরিয়াল পুলিশ গণমামলা দিয়ে থাকতো এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী রাজনৈতিক বন্দীদের উপর নির্যাতন করতো। যে পুলিশ যত বেশি মামলা দিতে পারতো তার জন্য পুরস্কারের বিধান ছিলো।
আমাদের প্রস্তাবগুলো যেহেতু সংবাদপত্রের নিবন্ধ হিসেবে তৈরি, আমরা নম্বর যোগে ক্রম দেইনি কিংবা পুস্তিকা সঙ্কলনের মত সাজাইনি। তৃতীয় কিস্তিতে আমলাতন্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপনের আশা রেখে আজ এখানে শেষ করি। সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
লন্ডন, ২৮শে ডিসেম্বর বুধবার, ২০২২
লেখক: শিক্ষাবিদ, চিন্তক ও সিটিজেন এক্টিভিস্ট