
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২৫ জুন) রাতে খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এসআই সুকান্তকে জনগণ ধরে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের নির্দেশে রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে দলটি। তিনি পতিত সরকারের পক্ষ অবলম্বন করেছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারকে প্রত্যাহারের দাবি জানান নেতারা।
একই সঙ্গে এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকেও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির নেতারা।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ‘৩৬ জুলাই-পরবর্তী সময়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খুলনার চিহ্নিত ডেভিলদের গ্রেপ্তারে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। নগরীর আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি কমিশনারের ব্যর্থতার ফসল। সন্ত্রাসীদের পদচারণে খুলনা নগরী এখন প্রকম্পিত। হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিএনপির নেতারা বলেন, বিভাগীয় শহর খুলনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এ ধরনের ব্যর্থ কর্মকর্তা দিয়ে মোটেই সম্ভব নয়। এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানমুখী আন্দোলনে হামলার শত শত অভিযোগ রয়েছে। হামলা মামলার আসামি সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়া আইনের অপব্যবহার এবং পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রমাণ বহন করে।
বিএনপির নেতারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেএমপির কমিশনারকে অপসারণ করা না হলে খুলনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন।
বিবৃতি দেওয়া নেতারা হলেন— বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।