গত ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে ভারতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, একজন হিন্দু নারীর বাড়ি মুসলিম ভাড়াটিয়ারা দখল করে নিয়েছে। একই সঙ্গে ৩৫ জন মুসলিম মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে।
বস্তুত, কোহিনূর আক্তার নামে এই নারী বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পটুয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সদস্য। তিনি মুসলমান। ধর্ষণের শিকার হননি। অনলাইনের তথ্য যাচাই প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার এই তথ্য জানিয়েছে।
রিউমার স্ক্যানার বুধবার তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আওয়ামী লীগ শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেই কর্মসূচি প্রতিহত করতে একই দিন একই স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করে। ফলে সেদিন উত্তেজনাকর নানা ঘটনার জন্ম হয়। বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষকে মারধরও করা হয়। এরই মধ্যে রক্তাক্ত এক নারীর ভিডিও কয়েকজন ভারতীয় তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রচার করে। সেখানে তারা এই নারীকে হিন্দু বলে প্রচার করে। তাকে মুসলিমরা ধর্ষণ করেছে বলেও প্রচার করা হয়।
কিছু এক্স পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করা হয়েছে।
একজন ভারতীয় তার পোস্টে বলেছেন, এই হিন্দু নারীর বাড়িতে মুসলমানরা ভাড়া থাকত। এই মুসলমানরা ৩৫ জন পুরুষ মুসলমানকে ডেকে এনে তার বাড়ি দখল করে এবং ৩৫ মিলে তাকে ধর্ষণের পর তাড়িয়ে দেয়।
এসব পোস্ট ১০ লাখের বেশি মানুষ দেখেছে। তাদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই প্রকৃত তথ্য জানতে চায়।
রিউমার স্ক্যানার তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কোহিনূর নামে এই নারী গত ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বিরোধী পক্ষের হামলার শিকার হন। পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ৩৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারকরা হয়েছে। সেদিনের কর্মসূচিতে ধর্ষণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
bangla outlook