today-is-a-good-day

হাসিনার প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়া: এ সপ্তাহে ক্যাঙ্গারু কোর্টে যেতে হবে ৫ দিন

হাসিনার প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়া: এ সপ্তাহে ক্যাঙ্গারু কোর্টে যেতে হবে ৫ দিন

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সবসমই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শেখ হাসিনা যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের নামে থাকা দুর্নীতির মামলাগুলো প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছেন এবং জরুরী অবস্থা চলাকালীন সময়ে মামলায় হাজিরা থেকে রেহাই পেতে বিদেশে গিয়ে পালিয়ে থেকেছেন, সেখানে বেগম খালেদা জিয়া তার উপর অন্যায় এবং মিথ্যা মামলাগুলোতেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিয়মিত আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন। আইনের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার এই শ্রদ্ধাকে সরকার আদালতের মাধ্যমে এই বর্ষীয়ান নেত্রীকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশের আদালতগুলোতে লক্ষ লক্ষ মামলা চলছে। কোন মামলার তারিখ সপ্তাহে তিনবার করে দেয়া এবং সেই তারিখে বিবাদীকে স্বশরীরে হাজিরা দিতে বাধ্য করা, অন্যথায় জামিন বাতিল করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার হুমকি দেয়ার মত জঘন্য দৃষ্টান্ত কেবল বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এখন দেখতে পাচ্ছে মানুষ। পৃথিবীর ইতিহাসে এই নজিরবিহীন ভয়াবহ ঘটনা ঘটাচ্ছে শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি প্রনয়নের সময় উচ্চ আদালতের এখতিয়ারকে রাষ্ট্রপতির হাতে দেবার ছলে প্রকৃতপক্ষে তুলে দেয়া হয়েছে আইন সচিবের হাতে। এরপর দলীয় আইন সচিব দুলালকে দিয়ে বিচারককে প্রভাবিত করে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিচারের নামে নিষ্ঠুর জুলুম করা হচ্ছে। পিস্তল দুলাল কোর্টে সশরীরে উপস্থিত না থেকে নিজেই বেগম জিয়ার মামলার কলকাঠি নাড়ছে। বেগম জিয়াকে বছরব্যাপী চূড়ান্তভাবে হয়ারানি, নাজেহাল ও অপদস্ত করার জন্য ইতিমধ্যে আরো ১৪টি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা বকশিবাজারের বিশেষ ক্যাঙ্গারু কোর্টে স্থানান্তর করা হয়েছে হাসিনার সরাসরি নির্দেশে। খালেদা জিয়াকে আদালতে প্রতিদিন ব্যস্ত রাখার জন্য এই নীলনক্সা বাস্তবায়ন করছে হাসিনা, যাতে আগামী নির্বাচনে জনগনের কাছে যেতে না পারেন তিনি। তবে বিশ্বের অন্যতম অভাবনীয় জনপ্রিয় নেত্রীর প্রতি অবৈধ সরকারের এই নির্যাতনে সারাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে।

The article appeared in BD Times on 1.15.2018