হারানো পদ ফিরে পেলেন ক্রিকেটার আজহার

হারানো পদ ফিরে পেলেন ক্রিকেটার আজহার –

হারানো পদ ফিরে পেলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দিন। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি পদে পুনরায় তাকে বহাল করে আনা হলো। সংস্থার ওম্বুডসম্যান প্রাক্তন বিচারপতি দীপক বর্মা রোববার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পাশাপাশি যে অ্যাপেক্স কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেই কমিটিকেই বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। বর্মার জারি করা নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কে জন মনোজ, আর বিজয়ানন্দ, নরেশ শর্মা, সুরেন্দর আগরওয়াল এবং অনুরাধাকে আপাতত নির্বাসিত করা হচ্ছে।

কিছু দিন আগে এই অ্যাপেক্স কাউন্সিলই আজহারউদ্দিনকে নির্বাসিত করেছিল। আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিসিসিআইয়ের বেশ কিছু নিয়ম তিনি মানেননি। তিনি যে দুবাইয়ের একটি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য, তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি। আজহার যে ক্লাবের সদস্য সেটি আবার এমন একটি লিগে খেলে, যাকে BCCI স্বীকৃতি দেয় না।

শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থাকাকালীনও বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একার মতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন না। তাছাড়া এইচসিএ’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আজহারের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অন্য সদস্যরা আজহারের বিরুদ্ধে বিসিসিআইয়ে অভিযোগও জানান।

তারপরই তার বিরুদ্ধে পালটা পদক্ষেপ করে হায়দরাবাদ বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিল। গত ২৫ মে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকেই আজহারকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেইমতো গত ১৫ জুন তাকে শোকজ করা হয়েছে। জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপরই তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়।

কিন্তু বর্মার নির্দেশে পুনরায় ওই পদে ফিরলেন আজহার। এদিকে, নিজের জারি করা বিবৃতিতে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্যদের সমালোচনাতেও মুখর হয়েছেন বর্মা। তিনি লিখেছেন, ‘নিজে থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অ্যাপেক্স কাউন্সিলের নেই। তাই আজহারউদ্দিনকে নির্বাসিত করার যে সিদ্ধান্ত এই পাঁচ সদস্য নিয়েছেন, তা বাতিল করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই পাঁচ জনকে শোকজ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ জানানোর কথাও বলা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেয়ার বদলে কিছু কর্তা নিজেদের মধ্যে রাজনীতির খেলা খেলছেন, যার কারণ তারাই জানেন। এতে ক্রিকেট সংস্থার আসল কাজেই বিঘ্ন ঘটছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন