হাবিবুল আউয়াল কমিশন : সতর্ক আশাবাদ


আশা-নিরাশার দেশ বাংলাদেশ। কখনো আশায় উদ্বেল হয় মানুষ। আবার কখনো বা নিরাশ আঁধারে ডুবে যায় এ দেশ। এই আশা-নিরাশার দোলাচল ডিঙিয়ে ক্ষীণ আশার আলোর স্বপ্ন দেখে তারা। সঙ্কট যতই গভীর হোক সুড়ঙ্গের অবশেষে আলোর ভরসায় থাকে এই মানচিত্রের অধিবাসীরা। বিগত ৫০ বছরে আশায় আশায় বসতি গড়েছে তারা। তাদের ‘বদনসিব’ বদলায়নি। তবে ‘দু’জনার হয়েছে বুলন্দ নসিব’। রাজনীতি, সমাজনীতি ও অর্থনীতি- সর্বত্রই একই চিত্র, একই দৃশ্য। আমাদের সঙ্কটের যেন শেষ নেই। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জিল্লুর আর খান তার একটি গ্রন্থের উপশিরোনাম দিয়েছেন, ‘ক্রাইসিস টু ক্রাইসিস’।

আমাদের এই দেশে সাধারণভাবে, স্বাভাবিকভাবে কোনো কিছুই যেন ঘটবার নয়। ৫০ বছর পরে নির্বাচন কমিশনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য’ অর্জিত হয়নি, এটি বিস্ময়ের ব্যাপার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বরাবরের মতো নাটকীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করেছে। তবে তাদের মতো করে। অন্যদের কথা শোনেনি তারা। সেই সার্চ কমিটি। নতুন করে পুরনো ঘটনা। লোকে বলে ‘সেই তো নথ খসালি তবে কেন লোক হাসালি’। উত্তরে বলা যায়, পানি ঘোলা করে খাওয়াই আমাদের স্বভাব। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায়- এটাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।

লেট বেটার দ্যান নেভার। সব ভালো যার শেষ ভালো। অনেক বিতর্ক, অনেক তামাশার পর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে এটাই বাস্তব সত্য। দেশের ১৩তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি হিসেবে শপথ নিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার সাথে আরো চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। এই শপথের মধ্য দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের নতুন যাত্রা শুরু হলো। আইন মোতাবেক তাদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই, ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনকে যেভাবে রকিব ও হুদা কমিশন বিপর্যস্ত ও পর্যুদস্ত করে গেছে সেভাবে এই কমিশনও করবেন কি না সেই দুশ্চিন্তায় রাজনীতিবিদ এবং সচেতন নাগরিক সাধারণ উদ্বেগসঙ্কুল। তাই দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন গঠন যতটা এগিয়ে এসেছে ততটাই সরব হয়েছে সিভিল সোসাইটি। তারা আবৃত্তি-বিবৃতি কোনোটাই বাদ রাখেনি। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আইনের খসড়া করে জমা দিয়েছেন সরকারে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্য অতীতের অভিজ্ঞতায় যেহেতু নির্বাচন কমিশনকে বশংবদ দেখেছে সেহেতু তারা কোনো আগ্রহ দেখায়নি। প্রবল বিরোধীদের বিশ্বাস, নির্বাচন কমিশন সংবিধানে স্বাধীন হলেও নিজেরা বাস্তব ক্ষেত্রে সরকারের অধীন হয়ে পড়েছে। সুতরাং নির্বাচনকালীন সরকারই তাদের লক্ষ্য। এই আশা-নিরাশার ও তর্ক-বিতর্কের মধ্যে এই হাবিবুল আউয়াল কমিশন জন্মলাভ করেছে।

সচেতন নাগরিকরা এই কমিশনকে সতর্ক আশাবাদের সাথে গ্রহণ করেছেন। এই প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন একটি জন-জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছে। সন্দেহ নেই, পূর্ব-অনুসৃত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিরোধী দলের বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করা বরং মন্দের ভালো হয়েছে। সরকার একটি চাপ অনুভব করেছে। আর যে হারে পাইকারিভাবে নাম এসেছে তা জনগণের অতি আগ্রহের কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে। সরকারি দল যে কায়দা-কানুন করেনি তা নয়। গণমাধ্যমে খবর এসেছিল, আগের মতো অনুগত ছোট ছোট দলগুলোকে দিয়ে আসল নাম প্রস্তাব করে তারা নকল নাম প্রস্তাব করবে। তারা দেখাতে পারবে যে, হুদার মতো তাদের প্রস্তাবিত নাম থেকে সিইসি গঠন করা হয়নি। এর সমর্থনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এই কৌশলের কারণেই দাবি করতে পারছেন যে, হাবিবুল আউয়ালের নাম তাদের প্রস্তাবনায় ছিল না। এখন কৌশলগতভাবে তারা হাবিবুল আউয়ালকে বিএনপির লোক বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করছেন। আহমদ হোসেন বলেছেন, যেহেতু ছাত্রজীবনে সিইসি মুহসীন হলে থাকতেন এবং সেকালে সেটি ছাত্রদলের ঘাঁটি ছিল সুতরাং হাবিবুল আউয়াল ছাত্রদলের নেতা বা কর্মী একটা কিছু হবেনই। বলিহারি যুক্তি! শুনলে ‘ঘোড়ায় ভি হাসব’। ইতোমধ্যে হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

মূলত প্রকাশ্যে হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি তাকে সৎ ও সাহসী বলে অভিহিত করেছিলেন। এখন কাকতালীয়ভাবে সরকারের আস্থা ও বিশ্বাসও স্থাপিত হয়েছে হাবিবুল আউয়ালে। তাই তার নিরপেক্ষতার নিদর্শন মিলেছে। এ দিকে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করতে চাইছে, এই নতুন নির্বাচন কমিশন মনোনয়নে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। তাই যদি সত্য হয় তাহলে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা সবাই জানি- একমাত্র প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ না-ও করতে পারেন, অন্যত্র তা সম্ভব নয়। কোনো নাবালকও বিশ্বাস করবে না যে, এই দেশে, এই সময়ে, এভাবে স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হতে পারে।

হাবিবুল আউয়াল সম্পর্কে দু’ধরনের মতামত প্রকাশিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক হাবিবুল আউয়ালকে তুলোধুনা করেছেন। ড. মালিক হাবিবুল আউয়ালকে সুবিধাভোগী, গণবিরোধী, অন্যায়কারী ও বদরাগী বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। ড. তুহিন মালিক আরো বলেন, ‘জেলেনস্কির মতো মাঠে থাকার আহ্বান নবনিযুক্ত সিইসির। কিন্তু আমাদের এখানে পুতিনটা কে? তার নামটা উনি বলতেই পারলেন না! এবার সিইসির কাছে দেশের মানুষের আহ্বান। বলুন তো, ২০১৮ সালের নির্বাচন কেমন ছিল? এতেই পরীক্ষা হয়ে যাবে। নবনিযুক্ত ইসি কতটা স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী।’ নতুন এই নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমলানির্ভর কমিশন বলে উল্লেখ করেছে গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জাপা বলেছে, ‘এই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে কি না তার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’
নতুন ইসি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তথা চরমোনাই পীর সাহেব। আর হাবিবুল আউয়ালের সমর্থকরা তাকে সৎ, নিষ্ঠাবান ও সাহসী মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করছেন। সরকারের কার্যক্রমে তার বারবার নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ সুবিধাবাদের উদাহরণ না হয়ে দক্ষ পেশাদারিত্বের উদাহরণও হতে পারে- মন্তব্য সুধীজনের। এই দীর্ঘ কর্মকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদাচরণের কোনো উদাহরণ পাওয়া যায়নি। বরং তার সহকর্মীরা তাকে গভীর নৈতিক মানসম্পন্ন মানুষই মনে করে। জনাব আউয়ালের সমর্থকদের যুক্তি যার স্বার্থ সুবিধায় এই কঠোর মানুষটি হস্তক্ষেপ করেছে সে বা তারা তার পক্ষে যুক্তি দেবে কী! যাই হোক, আমরা এই বিতর্কের মধ্যে না গিয়ে বলতে পারি, ‘বৃক্ষত, ফলত, পরিচয়ত’। বৃক্ষের ফলে পরিচয়। নতুন সিইসি হিসেবে তার কার্যক্রম দেখেই মন্তব্য করা সমীচীন। আমরা আশা করতে চাই। নিরাশ হতে চাই না।

হাবিবুল আউয়ালের জীবন কথা প্রমাণ করে, তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন মুন্সেফ থেকে। সফল প্রশাসক হিসেবে ধাপে ধাপে পৌঁছেছেন শীর্ষ পদে। তার যেমন রয়েছে বিচার বিভাগের অভিজ্ঞতা, তেমনি রয়েছে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা। অবশেষে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেছেন। সে দিক থেকে তার জীবনকে বর্ণাঢ্য বলা যায়। এখন গোটা জাতির আশা-আকাক্সক্ষার কঠিন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। নবনিযুক্ত সিইসির এই দায়িত্ব অসম্ভব রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ। শপথ নেয়ার পরপরই সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ কী মনে করছেন? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনই একটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কোনো চ্যালেঞ্জ ভয় পেলে হবে না। চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে।’ তবে চ্যালেঞ্জ কী সেটি এখনো বুঝে উঠতে পারেননি। দায়িত্ব নিলে চারদিকে তাকিয়ে বোঝা যাবে আসলে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না। তখন সেই চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে এবং লক্ষ্য অর্জনে দৃষ্টিভঙ্গি, কর্মপদ্ধতি ও কৌশলের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা হবে। বস্তুত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতিটি সময় ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সবটাই চ্যালেঞ্জের। সিভিল সোসাইটি ইতোমধ্যেই মন্তব্য করেছে, নির্বাচন তথা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস পুনরুদ্ধারই হচ্ছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।

এ কথা লুকিয়ে লাভ নেই যে, তার পূর্বসূরিরা যেই সর্বনাশ সাধন করেছেন তার প্রতিকার সহজতর নয়। এক দিকে তাকে বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করতে হবে, অপর দিকে সরকারকেও বিব্রত করা যাবে না। কঠিন ও কঠোর সেই ভারসাম্য রক্ষার সুকঠিন কৌশলে মনোযোগী হতে হবে তাকে। সব মানুষের আশা নতুন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। দেশের মানুষ যাতে ভোটের মাধ্যমে নিজেদের আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে পারে সেই বিষয়টি তিনি তার কমিশনের মাধ্যমে সুনিশ্চিত করবেন- এটাই জনগণের প্রত্যাশা। এটি একটি অপ্রিয় সত্য যে, নির্বাচনের ব্যর্থতা ও সফলতা সবটুকুই ব্যক্তি হিসেবে একান্তভাবেই তার ওপর নির্ভর করে না। তিনি যথার্থই বলেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশনই করে না; নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সাথে অনেকেই যুক্ত। তাদের প্রধান দায়িত্ব হবে সহযোগিতাগুলো আদায় করে নেয়া। কতটা তিনি আদায় করতে পারবেন সেটি নির্ভর করে তার নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব ও কর্মকুশলতার ওপর। আমরা এই মুহূর্তে তাকে ভারতীয় সাহসী নির্বাচন কমিশনার টি এন শেষনের কথা মনে করিয়ে দিতে পারি। রাজনীতিবিদরা তাকে রীতিমতো সমীহ করত। তাতে বোঝা যায় যে, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অসম্ভব সাহসী হলে অসম্ভব ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।

দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন। রসিকতা করে লোকেরা বলে যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয় তাহলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এখানেই সেই সীমাবদ্ধতার প্রশ্ন। মনে করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের বিগত ৫০ বছরে অনুষ্ঠিত ১৮টি নির্বাচনের ১১টিই হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে। আর সেসব নির্বাচনে সরকারি দল কখনোই পরাজিত হয়নি। পক্ষান্তরে বাকি সাতটি নির্বাচন নির্দলীয় ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নির্বাচনের কোনোটিতেই ক্ষমতাসীন দল জয়লাভ করেনি। আর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের নিদারুণ অভিজ্ঞতা এই জাতির রয়েছে। সেই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক তার কথিত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রমের সাহস কোনো নির্বাচন কমিশনই দেখাতে পারেনি। ব্যক্তিগত দুর্বলতা ও বিরাজিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি এতটাই শোচনীয় যে, নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিলেও সেই ক্ষমতা প্রয়োগের সাহস তারা দেখাতে পারেনি। আর সে কারণেই নির্বাচনকালীন সরকারের অনিবার্যতার প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যতীত কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন বাংলাদেশের বাস্তবতায় সম্ভব নয়।

এ দিকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে শক্ত কথা বলেননি বলে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। জনগণ তার কমিশনের সীমাবদ্ধতার কথা জানে। তিনি চাইলেই বিপ্লবী ভ‚মিকা পালন করতে পারেন না- এটাও জনগণ উপলব্ধি করে। তার কর্মজীবন ও তার কমিশন সদস্যদের ওপর গোটা জাতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চায়। সেই সাথে বিনয়ের সাথে জনগণ তাদেরকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ৪ উপধারা মনে করিয়ে দিতে চায়। যেখানে বলা আছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ হ
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]