- কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ২৯ জুন ২০২০
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ৬১ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নদীর দু’কুল ছাপিয়ে চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে পাট, আউশ ধান, কাউন, ভুট্টা, বাদাম, সবজি খেত বীজতলা ও গোচারণ ভুমি। বিশেষ করে কাজিপুরের সিংহভাগ কৃষকের সোনালী স্বপ্নের ভিত গড়ে দেয়া পাটক্ষেত পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। আর সাত দিন সময় পেলেই তারা এই ফসল কাটতে পারত।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ.কে.এম. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সকাল ৬টায় কাজিপুরে যমুনা বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ পর্যন্ত ৬১০ হেক্টর আউশ ধান, ১২০ হেক্টর ভুট্টা, ৪০ হেক্টর আখ, ১৬০ হেক্টর কাউন, ৪৫০ হেক্টর শাকসবজি এবং ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমির পাট সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, এতে করে মোট ২০ হাজার কৃষক ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছে।
এদিকে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছে বিপাকে। তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও খাবারের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার বাঁধে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একে এম শাহা আলম মোল্লা জানান, আমরা খোঁজখবর রাখছি। ২৩ টন চাল বরাদ্দ রয়েছে। অবস্থা বিবেচনায় আরো চাহিদা দেয়া হবে। পানিবন্দী পরিবারের তালিকা তৈরী করে সরকারি ত্রাণ দেয়া হবে।