চট্টগ্রাম
ভোজ্যতেলে এখন আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। তা থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ করা হলে কেজিপ্রতি কমবেশি ১২ টাকা খরচ কমতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে কত দামে ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে তার ওপর, এমনটিই বলছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ইতিমধ্যে খালাস হওয়া অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের আমদানিমূল্য পড়েছে প্রতি কেজি ১১৮ থেকে ১২২ টাকা। নতুন যেসব চালান আসছে, সেগুলোর আমদানিমূল্য কমবেশি ১২৭ টাকা পড়বে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। সেই হিসাবে কেজিপ্রতি ভ্যাট বাবদ ১২ টাকা দিতে হবে না ব্যবসায়ীদের। একইভাবে পাম তেল আমদানিতেও খরচ কমতে পারে ১২ টাকার কাছাকাছি। তবে এখন যেসব তেল বাজারজাত হচ্ছে, সেগুলো ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়েই খালাস হয়েছে। নতুন চালান খালাস করে বাজারজাত করতে করতে রোজা চলে আসবে। সেক্ষেত্রে ভ্যাট কমানোর কতটুকু প্রভাব পড়বে তা নির্ভর করবে বাজারের ওপর।
বাজারে ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে অর্থ মন্ত্রণালয় পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন এবং পাম তেল আমদানিতে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে এনবিআর গত সোমবার বিকেলে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায় পর্যায়ে সব ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এই ভ্যাট–অব্যাহতি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এতে দাম এক থেকে দেড় টাকা কমতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। নতুন করে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, সব মিলিয়ে ১৩ থেকে ১৪ টাকা খরচ কমতে পারে বলে তাঁরা ধারণা দেন।
অবশ্য ভ্যাট কমানোর জন্য কয়েক দফা সরকারের উচ্চপর্যায়ে সভা হয়েছে। এরপরও এনবিআর গত সোমবার উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট কমালেও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমায়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখেনি। গত সোমবারের প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আসন্ন পবিত্র রমজান ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে শুধু উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে নয়, আমদানিসহ সব পর্যায়েই ভোজ্যতেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়।