স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানিতে ধস

jugantor

যুগান্তর ডেস্ক

 ১৩ আগস্ট ২০২৩
স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানিতে ধস

অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার সংকটসহ নানা কারণে স্থলবন্দরগুলোয় আমদানি-রপ্তানিতে ধস নেমেছে। এ জন্য আমদানিনির্ভর রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ডলার সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন আরোপ করেছে।

এলসি খোলা কমে যাওয়ায় আমদানি খাতে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। ফলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। আমদানি করা পাথরের ধার্যকৃত মূল্য (অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু) বাড়ানোয় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে কয়েক দিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলে ডলার সংকট ছাড়াও দুর্নীতি, হয়রানি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধস নেমেছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন। কাস্টমস ও বন্দরের ঘুস বাণিজ্যে ৫ বছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারেনি বলে অভিযোগ। সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী বিগত ছয় মাসে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১৯৬ কোটি টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ৪১৮ কোটি টাকা। বিগত ছয় মাসে এই স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩৪ কোটি টাকা। তবে আয় হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৩৭ কোটি টাকা। বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৬১৯ কোটি টাকা। জুলাই মাসেও ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। দেশের শুল্ক বিভাগ ৩১ জুলাই ভারত ও ভুটান থেকে আমদানি পাথরের ধার্যকৃত মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর পরপরই আমদানি-রপ্তানিকারকসহ ব্যবসায়ীরা দেশ দুটি থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করে দেন। ফলে বন্দরের প্রায় ১০ হাজারের বেশি শ্রমিকসহ আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পাশাপাশি শুল্ক স্টেশনগুলো থেকে সরকারি রাজস্ব আদায় বন্ধ হয়ে গেছে।