- ২৪ ডেস্ক
বাংলাদেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই আশ্বাস দেন।
বক্তব্য রাখছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি স্থানীয় গেটওয়ে স্থাপন করতে হবে। এই গেটওয়ের মাধ্যমে তাদের ইন্টারনেট সেবা পরিচালিত হবে, যা সরকারের নজরদারিতে থাকবে। বাণিজ্যিক ও গ্রাউন্ড টেস্টের জন্য স্টারলিংককে ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে, যার ১০ দিন ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত। এই সময়ের মধ্যে লোকাল গেটওয়ে স্থাপন এবং আইনানুগ ইন্টারসেপশন (এলআইসি) সুবিধা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।
তিনি আরও জানান, স্টারলিংকের ডিভাইস আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক, কর ও ভ্যাট প্রযোজ্য হবে এবং প্রতিটি ডিভাইসের জন্য ছাড়পত্র (এনওসি) গ্রহণ করতে হবে। এটি অননুমোদিত ডিভাইসের প্রবেশ রোধ করবে এবং রাজস্ব আদায়ে সহায়ক হবে। প্রক্রিয়াগত জটিলতা কমাতে ব্যাচভিত্তিক এনওসি’র সুযোগও রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সঙ্গে স্টারলিংকের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে, যা নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে।