
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দেশের বেসরকারি খাতের সব
চেয়ে বড় এ ঋণদাতা চলতি বছরের জুলাইয়ের শেয়ারহোল্ডিং প্রতিবেদনে এ পরিবর্তনের কথা জানিয়েছিল। নিয়ন্ত্রক বিধিমালার সঙ্গে মান্যতা রাখতে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতেও প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবভিত্তিক কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সি ৫ জুলাই একটি চিঠি পাঠিয়ে পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে। এরপর ব্যাংকটি ২৬ জুলাই বোর্ডসভার মাধ্যমে তা অনুমোদন করে। এর আগে মুসাইদ আবদুল্লাহ এ আল-রাজি কোম্পানির পক্ষে দীর্ঘদিন ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরবসাস ট্রাভেল ইসলামী ব্যাংকের ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
এছাড়া, জুলাই মাসে ইসলামী ব্যাংক আরমাডা স্পিনিং মিলস মনোনীত আবু সাঈদ মোহাম্মদ কাসেম, কিংসওয়ে এনডেভার্স মনোনীত শওকত হোসেন এবং ইউনিগ্লোব বিজনেস রিসোর্সেস মনোনীত জামাল মোস্তফা চৌধুরীকে শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ইসলামী ব্যাংকে যৌথভাবে ১১ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এর আগে জুনে এসব কোম্পানি ব্যাংকটি থেকে তাদের পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় ব্যাংকের পর্ষদে এই তিন কোম্পানির মনোনীত পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক নাজমুল হাসান, অধ্যাপক সেলিম উদ্দিন ও মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মতিন।
আর জুন মাসে এস আলম গ্রুপ-এর চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ছেলে আহসানুল আলম জেএমসি বিল্ডার্স-এর মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে ব্যাংকের একজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।