আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এই রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি হয়েছিল। কারণ, ১৯৭৪ সালের পর ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ওই দেশে যায়। তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করা নেই। নিয়ম অনুযায়ী, সে দেশে কেউ কাগজপত্র ছাড়া থাকতে পারে না। আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ওই সব রোহিঙ্গাকে তারা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না, আমরা তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করে দেব। এ বিষয়ে কাজের ধীরগতি কেন, কোনো অসুবিধা আছে কি না, সেটা জানতে প্রতিনিধিদলটি এসেছিল। তা ছাড়া সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই দেশের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।‘
এই ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার দায়িত্ব কোন রাষ্ট্র নেবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব কিন্তু ফেরত পাঠাবে না কাউকে। আবার সৌদি সরকার রোহিঙ্গাদের ওই দেশের নাগরিকত্বও দেবে না।
তবে কীভাবে থাকবে? সে জন্য তাদের কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন। গত বছর এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলাম আমরা।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা তো বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে গিয়েছিল। সুতরাং আমরা শুধু তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করে দেব। তাদের নাম-ঠিকানা পাসপোর্টে যেমন আছে, তেমনই থাকবে।’
সৌদি প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে। সৌদি যদি এই চুক্তি করে, তবে ভালো হবে। বাংলাদেশ থেকে তাদের সিকিউরিটি গার্ডের জন্য আনসার পাঠানোর কথা বলেছি। এ বিষয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আপনারা জানেন, ভিআইপি নিরাপত্তার জন্য আনসারদের আমরা গার্ড রেজিমেন্ট হিসেবে তৈরি করেছি।’
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
manabzamin