পিরোজপুর প্রতিনিধি
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার
রডের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে নির্মাণ কাজ করে বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে সমালোচনা। তবে এবার পিরোজপুরে রডের পরিবর্তে বাঁশ নয়, সুপারি গাছের তৈরি কাঠি দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে ৬টি আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ। এ কাজের মধ্যে কাউখালী সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া খালে নুরুল ইসলাম শরীফের বাড়ির সামনে একটি আয়রন ব্রিজের মেরামত কাজের সøাবে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে সুপারি গাছের কাঠি। ফলে নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যেই আয়রন ব্রিজের উপরের সøাবগুলো ভেঙে যেতে শুরু করে। এরপর ভাঙা সøাবের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা সুপারি গাছের কাঠি।
বুধবার ভাঙা সøাব থেকে সুপারি গাছের কাঠি বেরিয়ে আসার বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নজরদারি না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. লাভলু খান বলেন, এটি তার লাইসেন্সে প্রথম কাজ। তবে কাজটি পাওয়ার পর উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা তার কাছ থেকে নিয়ে কাজটি করার জন্য পিড়াপীড়ি করেন। এরপর কাজ শেষে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে কাজের ব্যাপারে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে। তার দাবি এ বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশল অফিসের দেখা উচিত ছিল।
বিষয়টি জানার পর কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ মিঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান। এ ছাড়া উপজেলা সভায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা।