শেয়ার বাজার
এমন দরপতনের প্রভাবে মূল্য সূচকেরও বড় পতন হয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ পয়েন্ট হারিয়ে ৬২০৯ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকের এ অবস্থান গত ১১ এপ্রিল বা সাড়ে সাত মাসের সর্বনিম্ন।
শেয়ারদর ও সূচকের সঙ্গে লেনদেনেও পতন হয়েছে। গত রোববার যেখানে ডিএসইতে ৫৪৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল, গতকাল তা ১৭৯ কোটি টাকা কমে ৩৭০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে শেয়ারবাজার পুরোপুরি মন্দ শেয়ারে ভর করে চলছে। কোম্পানি বন্ধ, মূল উদ্যোক্তাদের হদিস নেই বা কোম্পানি বড় ধরনের লোকসানে– এমন সব শেয়ারের দর রাতারাতি দ্বিগুণ-তিন গুণ হয়েছে। কারা কীভাবে কারসাজি করে এভাবে শেয়ারদর বাড়াচ্ছে, তা জানার পর নির্লিপ্ত অবস্থানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক হারে দরবৃদ্ধি পাওয়া বহু শেয়ারের দরপতন হয়েছে। ৫ শতাংশের ওপর দর হারিয়েছে ২১ কোম্পানির শেয়ার। প্রায় ১১ শতাংশ দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল ঢাকা ডায়িং। ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে এর পরের অবস্থানে ছিল বিডি থাই, ফু-ওয়াং সিরামিক, জিল বাংলা সুগার মিলস।
এমন দরপতনের মধ্যে গতকাল মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজ কোম্পানির শেয়ারদর দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ দর বেড়ে ৫৮০ টাকা ৬০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। ৫ শতাংশ দর বেড়ে এর পরের অবস্থানে ছিল আফতাব অটোমোবাইলস।
সমকাল