সুদহার আরো বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে আসছে নতুন মুদ্রানীতি

গত ছয় মাসে দেশে ব্যাংক ঋণের সুদহার প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। ৯ থেকে বেড়ে চলতি জানুয়ারিতে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার উঠেছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে ঋণের সুদহার বাড়ানো হয়েছিল। যদিও সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে দেখা যায়নি। সর্বশেষ গত নভেম্বরেও দেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে।

মূল্যস্ফীতির এ বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামীকাল জানুয়ারি-জুন এ ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে মুদ্রানীতির মৌলিক কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। গতকাল গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে মুদ্রানীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অনুমোদিত মুদ্রানীতির খসড়া আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে। পর্ষদের সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আগামীকাল মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রমতে, অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য ঘোষিত সংকুলানমুখী মুদ্রানীতির ধারাবাহিকতা দ্বিতীয়ার্ধেও থাকবে। এক্ষেত্রে সুদহার আরো বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে। বাড়ানো হতে পারে নীতি সুদহার, রেপো, রিভার্স রেপোর মতো মুদ্রানীতির মৌলিক সুদ কাঠামোগুলোও। আর ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্দেশিত ‘ক্রলিং পেগ’ নীতি অনুসরণের ঘোষণাও দেয়া হতে পারে। তবে এ নীতি বাস্তবায়ন ও কাঠামো ঠিক করতে আরো সময় নিতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১১ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরানোর বিষয়ে নতুন মুদ্রানীতিতে বিশেষ ঘোষণা থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অর্থনীতির সামগ্রিক সূচকগুলো পর্যালোচনা করে আমরা মুদ্রানীতি প্রণয়ন করেছি। রোববার (আজ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদের সভা আছে। ওই সভা থেকেও নীতিনির্ধারণী কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংকুলানমুখী মুদ্রানীতিই প্রণয়ন করা হচ্ছে।’

প্রায় দুই বছর ধরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আর অর্থনীতির ভিতকে ধারাবাহিকভাবে দুর্বল করছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্রমাগত ক্ষয়। শ্লথ হয়ে এসেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুই প্রধান উৎস রফতানি আয় ও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধিও। এতে প্রায় দুই বছর ধরে চলে আসা ডলার সংকট আরো তীব্র হচ্ছে।

আমদানি এক-তৃতীয়াংশের বেশি কমিয়েও ডলার সংকট কাটাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যাংক খাতে তীব্র হয়ে উঠেছে তারল্য বা নগদ টাকার সংকট। স্থবিরতা চলছে বেসরকারি বিনিয়োগেও। দেশী-বিদেশী উৎস থেকে ঋণ বাড়ছে সরকারের। বিপরীতে কমছে রাজস্ব আহরণ। অর্থ সংকটে পড়ে বিদ্যুৎ, সারসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকি ও প্রণোদনার অর্থও পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করে ভর্তুকির দায় পরিশোধের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। স্থবিরতা চলছে দেশের পুঁজিবাজারেও। অর্থনীতির নানামুখী সংকটের মধ্যেই চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০২৩ সালের শেষ মাস তথা ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশের সীমা তুলে নেয়া হয়েছিল। গত ছয় মাসে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে চলতি জানুয়ারিতে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহারও বেড়ে প্রায় ১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ব্যাংক খাতে তারল্যের সংকটও এখন তীব্র। এ পরিস্থিতিতে মুদ্রানীতিতে রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা না এলেও ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়বে।

বাংলাদেশে না কমলেও ২০২৩ সালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম গড়ে ১০ শতাংশের বেশি কমেছে। আর বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ। এ সময় খাদ্যশস্যের দামও কমেছে প্রায় এক-চতুর্থাংশ। আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন ব্যয়ও এ সময় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে এর কোনোটিরই ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। পণ্যের দাম না কমে উল্টো গত এক বছরে দেশে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। গত বছরজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নাজেহাল ছিল দেশের মানুষ। বছর শুরুর মাস তথা জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর নভেম্বরে এসে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে। মাঝে অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। তবে অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করছেন, মূল্যস্ফীতির প্রকৃত হার সরকার প্রকাশিত এ পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি।

চলতি অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির মতো ঋণ প্রবৃদ্ধির এ লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি। নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা লক্ষ্যের চেয়ে ১ শতাংশ কম। ডিসেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রার প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও নভেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রার বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ১ দশমিক ৭৩ শতাংশে নেমে গেছে। ব্রড মানি বা ব্যাপক মুদ্রার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাকে প্রধান লক্ষ্য ধরে নতুন মুদ্রানীতি প্রণয়ন করতে হবে বলে জানান অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ঋণের সুদহারকে ১৬-১৮ শতাংশে নিয়ে যেতে হতে পারে। ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার এখনই প্রায় ১২ শতাংশে উঠে গেছে। এটিকে প্রতি মাসে ১ শতাংশ হারে বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট বা ব্যয়ের লক্ষ্য অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা কমিয়ে আনা দরকার। এটি হলে নতুন টাকা ছাপানোর প্রয়োজন হবে না।’

সুদহার এতটা বেড়ে গেলে দেশের বেসরকারি খাত টিকবে কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আপাতত বেসরকারি খাত ঝিম মেরে থাকুক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে সুদহার কমিয়ে আনতে হবে। বাজারে টাকা না থাকলে ডলারের চাহিদা কমে যাবে। এতে ডলার সংকটও কমে আসবে।’

তবে কেবল সুদহার বাড়িয়ে-কমিয়ে দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বণিক বার্তাকে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক কাঠামোতে মুদ্রানীতির সংখ্যাগত কিছু পরিবর্তন-পরিমার্জন দিয়ে কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হবে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অর্থনৈতিক অন্য সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে হলে সুশাসন ও সংস্কার লাগবে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকর সুপারভিশন দরকার। করপোরেট সুশাসন না থাকলে কোনো নীতিতত্ত্বই কাজে আসবে না।’

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নতুন মুদ্রানীতিতে দেশের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (এসএমই) শিল্পের ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। বড়দের জন্য পুঁজিবাজার আছে, তারা তহবিল সংগ্রহের জন্য সেখানে যাক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ বাড়াতে হবে। বাজার ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে হবে। দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। মুদ্রানীতিতে এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা না থাকলে সেটি প্রণয়ন কিংবা ঘোষণা দিয়ে কোনো লাভ নেই।’

তিনি বলেন, ‘ডলার সংকট কাটাতে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বৃদ্ধিতে জোর দেয়া দরকার। বিশেষ করে অবৈধ হুন্ডির তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। তৈরি পোশাক খাতকে আর তোষণ করার সুযোগ নেই। প্লাস্টিক, চামড়া, পাটসহ অন্যান্য পণ্য যাতে বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিতে পারে, সেটির জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট অনেক দিক থেকে নেতিবাচক ধারায় চলছে। এটিকে ইতিবাচক করতে হলে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানো দরকার। কার্যকর আইনের শাসন ও সময়োপযোগী রীতিনীতি ছাড়া বিদেশীরা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে না। কেবল রোড শো করে পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ আসবে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের সরকারি-বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের স্থিতি এখন প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। বিপরীতে আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমেছে। গত ১০ জানুয়ারি দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) ওই দিন গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। আর দেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

রিজার্ভ ক্ষয় হওয়ার এ সময়ে দেশে টাকার রেকর্ড অবমূল্যায়নও হয়েছে। ডলারের বিনিময় হার ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে গত দুই বছরে ১১১ টাকায় উঠেছে। তবে ডলারের এ দর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদিত। যদিও আমদানি দায় মেটানোর জন্য দেশের ব্যাংকগুলো থেকে প্রতি ডলার ১২০ টাকার বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

দেশে ডলার সংকট কাটাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময় থেকে আমদানি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের ব্যাংক খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছরে আমদানি ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে যায়। আমদানি নিয়ন্ত্রণের এ পদক্ষেপ এখনো অব্যাহত রয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আমদানি কমেছে ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। রেকর্ড পরিমাণ আমদানি কমিয়ে আনার পরও দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রত্যাশা অনুযায়ী কমাতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে স্থবিরতা চলছে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রফতানি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে। একই সময়ে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।

দেশে যে পরিমাণ ডলার ঢুকছে, এখন বেরিয়ে যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি। এ কারণে দেশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট বা আর্থিক হিসাবের ঘাটতি বেড়েই চলছে। গত নভেম্বর শেষে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। দেশের ইতিহাসে আর্থিক হিসাবে এত বড় ঘাটতি এর আগে কখনই দেখা যায়নি। নভেম্বর শেষে দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপির ঘাটতিও ৪৮৯ কোটি ৮০ লাখ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। নতুন মুদ্রানীতিতে ডলারের এ সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রূপরেখা থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

bonikbarta