সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশীদের হত্যা ও চোরাচালান বন্ধে কাঁটাতার মিছিল

 আমার দেশ
২৭ জানুয়ারী ২০২৩

বিএসএফের নির্মম হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্যের চোরাচালান বন্ধের দাবিতে কাঁটাতার মিছিল ও সমাবেশ করেছে এনডিবি

বিএসএফের নির্মম হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্যের চোরাচালান বন্ধের দাবিতে কাঁটাতার মিছিল ও সমাবেশ করেছে এনডিবি

নিজস্ব প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফের নির্মম হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্যের চোরাচালান বন্ধের দাবিতে কাঁটাতার মিছিল ও সমাবেশ করেছে নতুনধারা বাংলাদেশ (এনডিবি) নামের একটি সংগঠন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার (২৭শে জানুয়ারী) সমাবেশ শেষে কাঁটাতার মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন দলটির নেতারা। মিছিলটি বিজয়নগরে এনডিবির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তাদের একজন বলেন, দেশের সীমান্তগুলো দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে আসে। এছাড়া বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশীদেরকে গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তে এসব হত্যা বন্ধ এবং মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেন, আমাদের বন্ধু দেশের মাদকদ্রব্য অহরহ দেশে আসছে। সেই মাদক সেবন করে দেশের মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। আবার সেই অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য বন্ধু দেশেই যাচ্ছে। এ কেমন বন্ধুত্ব?

তিনি অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা ও চোরাচালান বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হলেও রোধ করা যায়নি প্রাণহানি।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ২০২২ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে ২৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে ১৫ জন বাংলাদেশি মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।