সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা নিয়ে তামাশা!

নয়া দিগন্ত

  • সৈয়দ আবদাল আহমদ
  • ২২ নভেম্বর ২০২২

সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা নিয়ে তামাশা! – প্রতীকী ছবি

সীমান্তে বাংলাদেশ হত্যা নিয়ে এ কি তামাশা ভারতের? গত ১৮ নভেম্বর ভারত সফররত বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। প্রশ্ন হলো- এটি ভারতের পক্ষ থেকে কততম প্রতিশ্রুতি। ২০১২ সালের পর থেকে এই একই প্রতিশ্রুতির কথা আমরা শুনে আসছি। গত বুধবার ফেনীর পরশুরাম সীমান্তের বাঁশপদুয়া এলাকার কাঁটাতারের পাশে বিএসএফ এক বাংলাদেশীকে হত্যা করে। মোহাম্মদ মেজবাহার (৪৭) নামে বাংলাদেশী কৃষকের লাশটি পরশুরামের গুথুমা গ্রামের কাছে সীমান্তের শূন্যরেখার ভারতীয় অংশে পড়েছিল। বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠক শেষে লাশ ফেরত দেয়। এর আগে ৯ নভেম্বর ২০২২ লালমনিরহাটের লোহাকুচি সীমান্তে দুই বাংলাদেশী যুবককে মাথায় গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে সীমান্ত হত্যার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকের পর ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ যৌথ ইশতেহারে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে আবারো ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ রাতে দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে বিএসএফ মিনহাজুল ইসলাম মিলন (১৭) নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে। এ নিয়ে চলতি ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ মাস ১৮ দিনে ১৩ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে।

গুলি করে মেরে বিএসএফ একটি গল্পই আগের মতো প্রচার করে- ‘এরা গরু পাচারকারী। বিএসএফ-কে আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে আমরা গুলি চালাই।’ ১৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে যে বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয় তার বেলায়ও একই গল্পের পুনরাবৃত্তি করেছে বিএসএফ। এর আগে দু’জন হত্যার পর পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম (মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ) বলে, গরু পাচারের জন্য ভারতে প্রবেশ করে থাকলে তাদের মৃতদেহ তো ভারতে থাকার কথা। কিন্তু মৃতদেহ দু’টি বাংলাদেশ ভ‚খণ্ডে চলে গেল কিভাবে’?

‘সীমান্ত হত্যা আর হবে না’, ‘সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে’- ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন প্রতিশ্রুতি অনেকবার দেয়া হলেও সীমান্ত হত্যা বিএসএফ বন্ধ করছে না কেন এ নিয়ে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারও চুপচাপ, কিছুই বলছে না। এমনকি ভারতের কাছে সামান্য প্রতিবাদ জানানোর প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করছে না। সরকারের নির্বিকার মনোভাবে একের পর এক সীমান্ত হত্যা ঘটে চলেছে।

১০ বছর আগে ২০১১ সালে ‘ট্রিগার হ্যাপি’ শীর্ষক হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারত সরকার প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের পর এ পর্যন্ত কয়েকবার ভারত সফর করেছেন। ড. মনমোহনসিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকেও সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, বিএসএফ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র নয়, রাবার বুলেট ব্যবহার করবে। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। বিএসএফ ও বিজিবির মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনগুলোতেও সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার দফায় দফায় সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সীমান্ত হত্যা ঘটে চলেছে। ওই সিদ্ধান্তগুলো আসলে কাগুজে সিদ্ধান্ত হিসেবে ভারত বিবেচনা করে। বাস্তবে বিএসএফকে তার মতো করে অ্যাকশন নেয়ার কথা বলে দেয়া হয়েছে। অবাক করার বিষয়, গত সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সা¤প্রতিক সফরকালে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের বিষয়টি আলোচনাতে স্থান পায়নি। সরকারের ভারততোষণের কারণে বাংলাদেশের নাগরিকরা এভাবে সীমান্তে অসহায় মৃত্যুবরণ করছেন বাংলাদেশীরা। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবে প্রায় ৯০ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে বিএসএফের গুলিতে। বাকি মৃত্যু বিএসএফের শারীরিক নির্যাতনে। গত ১৪ বছরে দুই সরকারের অসংখ্য অঙ্গীকার, আশ্বাস ও প্রতিশ্রæতির পরও কাঁটাতারে আমরা কিশোরী ফেলানীর লাশ ঝুলতে দেখেছি। দেখেছি এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের নামে বিএসএফ ও ভারতীয় সরকারের প্রহসন এবং আমাদের সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও নির্লিপ্ততা।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাবে ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরে বিএসএফ সীমান্তে ৫২৩ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। আর আইন ও সালিশকেন্দ্রের (আসক) রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে ৫২২ বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে। আসক চলতি ২০২২ সালের এ পর্যন্ত আরো ১২ বাংলাদেশীকে হত্যার কথা জানায়। আসকের রিপোর্টে হত্যার শিকার ৫২২ জন বাংলাদেশীর মধ্যে বিএসএফ ৩২৪ জনকে গুলিতে ও ১৫৯ জনকে শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করেছে বলে উল্লেøখ করা হয়। এভাবে বিএসএফের হাতে একতরফা বাংলাদেশী হত্যা ঘটছে অব্যাহতভাবে।

সীমান্তে বিএসএফ ২০১৪ সালের পর আবার প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে। অথচ এর আগে ভারত বাংলাদেশকে জানিয়েছিল, প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র (নন-লেথাল উইপন) বিএসএফ সীমান্তে ব্যবহার করবে। কিন্তু বিএসএফ সে সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা করেনি। অহরহ ব্যবহার করছে প্রাণঘাতী অস্ত্র বা ‘লেথাল উইপন’। ২১ জুলাই ২০২২ সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন বিএসএফের মহাপরিচালক পংকজ কুমার সিং। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ‘আমরা দিনের বেলায় গুলি করছি না। লেথাল ফায়ারিং যা হচ্ছে তা রাতে হচ্ছে।’ বিএসএফ প্রধান জোর গলায় দাবি করেন, ‘এ যাবৎকাল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন, তারা সবাই অপরাধী।’ এরা সবাই নাকি পাচারকারী, গরুচোর। অথচ দুঃখজনক হলো- বিজিবি মহাপরিচালক তার পাশে বসা ছিলেন। কোনো প্রতিবাদ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি।

অবশ্য বিজিবি মহাপরিচালককে আর দোষ দিয়ে লাভ কি? কয়েক বছর আগে শেখ হাসিনা সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ‘সীমান্ত হত্যায় কোনো দোষ দেখছেন না’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘সীমান্ত হত্যার দোষ বাংলাদেশীদের, সরকারের কিছু করণীয় নেই।’ তেমনি আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ আশরাফের মন্তব্যও তখন হতভম্ব করে দিয়েছিল দেশের মানুষকে। সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড এবং এক যুবককে নগ্ন করে বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনায় দেশে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। ওই মন্ত্রী তখন বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়। সীমান্তে গুলি আগেও হয়েছে, হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে।’ বিদেশী বাহিনী কর্তৃক নিজের দেশের মানুষকে হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত বা সমর্থন করার নজির স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীরাই করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একবার বলেন, ‘সীমান্ত ঘটনাবলি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না’। এ ধরনের দায়সারা মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়ায় বিএসএফকে বাংলাদেশী হত্যায় আরো প্ররোচিতই করেছে। তা ছাড়া সরকারের কার্যক্রম ও বক্তব্যে এমন ধারণাই প্রকাশ পাচ্ছে, ভারতের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কিংবা বিএসএফের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা খুব একটা বিচলিত নন এবং তাদের করার কিছু নেই। যেন ‘বন্ধুরাষ্ট্রের’ এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশকে মেনে নিতেই হয়!

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা অধিকার, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সংস্থা মাসুমের ‘ট্রিগার হ্যাপি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে গত ১০ বছরের হিসাব উল্লেখ করে বলা হয়, প্রতি বছর গড়ে ১০০ জন করে বাংলাদেশী সীমান্তে বিএসএফের হত্যার শিকার হচ্ছে। অধিকারের প্রধান অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান শুভ্র বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘রক্তরঞ্জিত সীমান্ত’। সীমান্তে গুলি খেয়ে মরে যাওয়া যেন এখন স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের অনিবার্য নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ যেন তাদের দেখার নেই।

কিশোরী ফেলানীর কথা আগে উল্লেøখ করেছি। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের কাঁটাতারে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ফেলানী হত্যার ১১ বছর পেরিয়ে গেছে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সীমান্তে ঘটেছিল বিএসএফের এই নিষ্ঠুর চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড।

নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী খাতুন। সেদিন সে বাবার সাথে বাংলাদেশে ফিরেছিল। দেশে এনে তাকে বিয়ে দেয়ার কথা ছিল। সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ফেলানীর পোশাক কাঁটাতারের বেড়ায় জড়িয়ে যায়। ভয়ে সে চিৎকার শুরু করে। বিএসএফ তার এই চিৎকারের জবাব দেয় তাকে লক্ষ করে গুলি চালিয়ে, সেখানেই ফেলানী মারা যায়। মধ্যযুগীয় কায়দায় বিএসএফ তার লাশ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উল্টোভাবে ঝুলিয়ে রাখে কাঁটাতারে। এই নিষ্ঠুর ঘটনা দেশ-বিদেশে মানুষের বিবেক নাড়িয়ে দেয়। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও ন্যায়বিচারের দাবি উঠলেও প্রধান আসামি বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ এবং তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিএসএফের নিজস্ব আদালতে প্রহসনের বিচারে নির্দোষ ঘোষিত হন। রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে একই আদালত সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিলেও তা আমলে নেয়নি বিএসএফ। মানবাধিকার সংস্থা মাসুমের সহযোগিতায় মামলাটি এখন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে।

ফেলানীর মতো আরেক নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কাঠের সাথে হাত বাঁধা একটি ছেলেকে নগ্ন করে নির্মমভাবে পেটানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তার নাম হাবিবুর। ভারত থেকে গরু আনতে অন্য দু’জনের সাথে সেখানে গিয়েছিল। বিএসএফ ধরে তাকে সারা রাত বেঁধে রাখে। একপর্যায়ে পরনের লুঙ্গি খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে পেটাতে থাকে রাইফেলের বাঁট ও লাঠি দিয়ে। একপর্যায়ে মৃত ভেবে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সীমান্তের শূন্য রেখায় সরিষা খেতে ফেলে রাখে হাবিবুরকে।

২০১১ সালে ভারতের একটি ফেনসিডিল বহর বাংলাদেশে প্রবেশকালে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। ভারতীয় চোরাচালানিদের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বিজিবি সদস্য হাবিলদার লুৎফুর রহমানকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিএসএফ মারাত্মক আহত করে। তার দাঁত ভেঙে যায় এবং মাথায় একাধিক সেলাই লাগে।

বিএসএফের এই সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন পাকিস্তান বা চীন সীমান্তে দেখা যায় না। শুধু বাংলাদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রেই সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এর কারণ কী? কারণ এটিই যে, বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করলে এর কোনো প্রতিবাদ হয় না। ভারত আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেয় না, তিস্তায় চুক্তি করে না, টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে পানি নিজেদের জন্য সরিয়ে নেয়, ট্রানজিট নিয়ে নেয়, ভারতের পণ্য অবাধে বাংলাদেশের বাজারে ঢুকলেও আমাদের পণ্য ভারতে যেতে পারে না, লাখ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকরি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে, পিকে হালদারের মতো লোকেরা ১০-১৫ হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে- সরকার নির্বিকার, দেখেও দেখে না। তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে ভারত। বাংলাদেশের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এ দেশে বিএসএফের হত্যাযজ্ঞ চলছেই। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। বিচারবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ডকে পৃথিবীর কোনো আইনই সমর্থন করে না। কিন্তু ভারতকে কে বলবে এসব কথা। তাই বিএসএফের সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন অহরহ ঘটেই চলেছে। দেশের মানুষ যদি এর বিরুদ্ধে জেগে ওঠে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে তাহলে হয়তো এর লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হতেও পারে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
মেইল : [email protected]