- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫৪
কোথায় নিউজিল্যান্ড আর কোথায় আরব আমিরাত, ক্রিকেটের শক্তিমত্তা বিচারে কত বিস্তর ফারাক! তবুও কিউইদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে উঠেছিল আরব সাগর পাড়ের দলটা। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় তুলে ওই কাঁটা দূর করেছে টিম সাউদির দল, সব শঙ্কা দূরে ঠেলে সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা।
সিরিজের তৃতীয় শেষ ম্যাচে রোববার আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৪ রান তুলতে থামে আমিরাতের ইনিংস। ৩২ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড, সেই সাথে ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় সিরিজও।
সাধারণ একটা ম্যাচও অসাধারণ হয়ে উঠে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হওয়ার ফলে। যদিও খালি চোখে নিউজিল্যান্ডই পরিষ্কার ফেভারিট ছিল, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যাওয়ায় শঙ্কার মুখে ছিল তাদের সিরিজ জয়। সেই শঙ্কা দূর করেন উইল ইয়ং ও মার্ক চ্যাপম্যান। উভয়ের জোড়া অর্ধশতকে ভর করে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৫ রানে দুই ওপেনারকে হারায় কিউইরা। চাঁদ বোয়েস ৯ ও টিম সেইফার্রট ফেরেন ১৩ রান করে। তবে এরপর ৬০ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন উইল ইয়াং ও চাপম্যান। ইয়ং ৪৬ বলে ৫৬ ও চাপম্যান খেলেন ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংস। তাছাড়া ১১ বলে ২০* রান করেন সান্টনার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন আগের ম্যাচে ইতিহাস গড়া জয়ের নায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। আজ ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। টপ অর্ডারের বাকিরাও ছিলেন ব্যর্থ, প্রথম পাঁচ জনের মাঝে আসে সর্বোচ্চ ১৬ রান। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাসিল হামিদের সঙ্গে ৫৭ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন আয়ান আফজাল খান।
আয়ান আফজালের ৩৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমাতে পারে। ২৪ রান আসে হামিদের ব্যাটে। ১৩৪ রানেই থামতে হয় আমিরাতকে। ৩৫ রানে ৩ নিয়ে দলের সফলতম বোলার বেন লিস্টার।