- ২৪ ডেস্ক
নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর গণ-আস্থা ফিরিয়ে এনে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করাই এখন নির্বাচন কমিশনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, যখন একটি দেশে রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনৈতিক দল একাকার হয়ে যায়, তখন সার্বিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, যার প্রভাব নির্বাচন ব্যবস্থার ওপরও পড়েছে।

শনিবার, ৯ আগস্ট সকালে রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করব না। আমাদের দায়বদ্ধতা দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে।’
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলোও স্বীকার করে নেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা আশাবাদী, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।’ নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে কমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
ভোট দেওয়াকে শুধু নাগরিক দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একে ‘ঈমানী দায়িত্ব’ হিসেবেও আখ্যা দেন সিইসি নাসির উদ্দিন। এর মাধ্যমে তিনি ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করার একটি নতুন দিক তুলে ধরেন।
একইসাথে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপপ্রচার মোকাবিলার কথাও জানান তিনি। সিইসি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা মোকাবিলায় কমিশন কাজ করছে।’
নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়েও কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন নাসির উদ্দিন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গত নির্বাচনে যেসব প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্বে অবহেলা বা সমস্যার সৃষ্টি করেছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’