সিঁড়ি তালাবদ্ধ থাকায় সেজান কারখানায় মৃত্যু বেড়েছে

Daily Nayadiganta

সেজান কারখানায় স্বজনহারা একজনের কান্না – ছবি-মনিরুল ইসলাম সবুজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজানের কারখানায় আগুন লাগার সময় ভবনের চতুর্থ তলার সিঁড়ির গেট তালাবদ্ধ থাকায় শ্রমিকরা কেউ বের হতে পারেনি। এতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তারা জানান, ফ্লোর তালাবদ্ধ না থাকলে এতো প্রাণহানি হতো না।

শুক্রবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলেন, ভবনের ভেতরে এখনো আগুন জ্বলছে। কারখানায় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল থাকায় আগুন নেভাতে সময় লাগছে। সবশেষ ৫৩ জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্মন।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানায় আগুন লাগার পর শ্রমিকদের অনেকে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। এখনো অন্তত ৪৫ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার আগুন নিভলে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে। ওই দুই ফ্লোরে আরো অনেক লাশ থাকতে পারে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে শুধু ষষ্ঠ তলায় চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করতেন। করোনায় চলমান লকডাউনের কারণে তাদের মধ্যে কতজন বৃহস্পতিবার উপস্থিত ছিলেন তা কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। তবে কারখানা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কারখানায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন। অন্য সময় কাজ করতেন সাত হাজার শ্রমিক।

কারখানার একটি সিঁড়ি বন্ধ না থাকলে অনেক প্রাণ বাঁচানো যেত বলে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্মন।

শুক্রবার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গাড়ির মই সেট করে ছাদ থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করেছি। বাকিরা যদি ছাদে উঠতে পারত, আমরা কিন্তু বাঁচাতে পারতাম।’

দেবাশীষ বর্মন আরো বলেন, চতুর্থ তলায় যারা ছিলেন, ‘সেখান থেকে ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি তালাবদ্ধ ছিল। আর নিচের দিকে সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে ছিল ভয়াবহ আগুন। উনারা নিচের দিকেও আসতে পারেননি, তালাবদ্ধ থাকায় উনারা ছাদেও যেতে পারেননি। ফলে প্রাণহানি বেড়েছে।’