সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে সরকারকে কঠোরভাবে সতর্ক করবো।
আজ বুধবার  নির্বাচন ভবনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে সিইসির কাছে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

সিইসি বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন– বাংলাদেশে অনেক সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে। এখনো উনারা আশঙ্কা করেন, আগামীতেও এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে আবেদন রেখেছেন, আমরা যেন বিষয়টা বিবেচনায় নিই। আমাদের দিক থেকে করণীয় যা আছে তা যেন করি।

কাজি হাবিবুল আউয়াল বলেন , বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা এটাও বলেছি যে, আসলে বিষয়টা দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টা সংশ্লিষ্ট হবে, সেখানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠি দিয়ে, পত্র দিয়ে সরকারকে, সরকারের ডিসি, এসপিদের, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়– যারা যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের  অবহিত করবো, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা না হয়।

তিনি বলেন, আমরা কঠোরভাবে তাদের সতর্ক করে দেব, এটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়, বাঞ্ছিত নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না। এটা অমানবিক একটা বিষয়।

আমরা এই ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমরা এই ব্যাপারে আমাদের… আমরা তাদেরও অনুরোধ করেছি যে, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনারা আপনাদের শঙ্কার কথাটা ব্যক্ত করে রাখেন।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।

মানবজমিন