সামাজিক আস্থা ও জাফরুল্লাহ চৌধুরী

 

১৬ জুলাই ২০২৩

লেখক : ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ – ফাইল ছবি

আমি এখন পারিবারিক ভ্রমণে ডেনমার্কে। কর্ডেলিয়া চেসনাট ডেনমার্কের নামকরা ব্যাডমিন্টন তারকা। ২০২১ সালে প্রথমবার লকডাউন তুলে নেয়ার পর প্রতিবার ব্যাডমিন্টন খেলার সময় সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে কমপক্ষে ৩২ বার কোভিড পরীক্ষা করতে হয়। সামাজিক সুস্থতা বজায় রাখতে এসব পরীক্ষা ছিল প্রায় বিনামূল্যের। দেশটির জনগণ স্বাস্থ্য সচেতনতাকে কতটা সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখে তার বড় প্রমাণ ছিল এটি। এ কারণে ডেনমার্কে সামাজিক আস্থা সর্বোত্তম পর্যায়ে।

নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকার একমাত্র জনস্বার্থকেই গুরুত্ব দেবে এটা জানে বলেই সে দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থাপনার ওপর নাগরিকদের অটুট আস্থা। সরকার বিশ্বাস করে, নাগরিকরা সামাজিক কাঠামো, পারস্পরিক সম্মান এবং শান্তি বজায় রাখবে। পক্ষান্তরে ডেনিশরা বিশ্বাস করে, সরকার বৃহত্তর ভালোর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক যা প্রয়োজন তা করবে। এই সামাজিক আস্থা মহামারী করোনা চলাকালীন অটুট ছিল বলেই ভাইরাস প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছিল ডেনমার্কে।

ডেনমার্কের ধারাবাহিক শীর্ষ র‌্যাংকিং ব্যাখ্যা করার সময় আইএমএফ গবেষকরা প্রায়ই এই পারস্পরিক আস্থাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে তুলে ধরেন। সমাজের আস্থার মধ্যে নিহিত দেশটির শক্তিশালী সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং উচ্চ শিক্ষা এবং প্রচুর ভর্তুকিযুক্ত শিশুযত্ন প্রদান। গবেষকরা যুক্তি দেন যে, হঠাৎ করে ব্যাপক সামাজিক কল্যাণ নয়, ডেনিশদের সুখী করে ‘সরকারি সেবা কার্যক্রমের প্রতি আস্থা, সহনশীলতা, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক উন্নয়নের দীর্ঘ ইতিহাস এবং একটি স্থিতিস্থাপক গণতন্ত্রের সংমিশ্রণ।’ যোগাযোগ ও ভবন উন্নয়নের পাশাপাশি সেটি সব নাগরিকের জীবনের ভারসাম্য তৈরির সম্পর্কিতকরণ তথা জনগণ যাতে সে উন্নয়নের সুফল পায় তা দেখাও আমাদের জন্য তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের অবসরকাল ব্যবহার করার ভালো সুযোগ-সুবিধা, ভালো সম্ভাবনা রয়েছে তা নিশ্চিত করা নেতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাপনাই উচ্চস্তরের আস্থার চাবিকাঠি। বেশির ভাগ লোকেরই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রয়েছে,’ বলেছেন ডেনিশ পার্লামেন্টের সদস্য মোজেনস লিক্কেটফট, যিনি ১৯৯০-এর দশকে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি অর্থমন্ত্রী হিসেবে বড় কর ও শ্রম সংস্কারের তদারকি করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী এটিও বলেন যে, ‘সরকারি পরিষেবার অসাধারণ দক্ষতার জন্য ডেনমার্কের বেশির ভাগ লোক উচ্চ হারে কর দেয়।’

উপরে ডেনিশ সমাজে, সরকারে ও রাজনৈতিক অর্থনীতিতে আস্থার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার কথা যখন বলছি তখন বাংলাদেশের সমাজে, সরকারে এবং রাজনৈতিক অর্থনীতিতে আস্থার পরিবেশ পরিস্থিতি তুল্যমূল্য তাৎপর্য পর্যবেক্ষণে সামাজিক আস্থা সৃষ্টিতে প্রয়াত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আজীবন সংগ্রাম সাধনার স্বরূপ সন্ধানে স্মৃতি রোমন্থনেরও তাগিদ অনুভব করি।

সিভিল অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে সুপিরিয়র সার্ভিসেস পরীক্ষায় নির্বাচিত অফিসারদের ২২ সপ্তাহের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের একটি অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল ক্ষৈত্রিক পর্যায়ে হাতে-কলমে গণউন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ। চার-পাঁচ সপ্তাহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অবস্থান করে আমাদেরকে সেখানকার আর্থসামাজিক প্রশাসনিক সমস্যা নিয়ে সরেজমিন স্টাডি করে প্রতিবেদন করতে হতো। উদ্দেশ্য তুমি দেশের বড় কর্মকর্তা, তোমার কর্মস্থল হয়তো থাকবে রাজধানীতে কিন্তু দূরগ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে তোমার সম্পর্ক তাদের আর্থসামাজিক সমস্যা সম্পর্কে তোমার যোগাযোগ জানাশোনা না থাকলে তুমি কেন্দ্রে বসে কিভাবে তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা আঁকবে ও বাস্তবায়নে যাবে। ভিলেজ স্টাডির বাইরে আরেকটি কার্যক্রম ছিল গণউন্নয়নের চিন্তাভাবনার বাস্তবায়নে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান যেমন- কুমিল্লার বার্ড, সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন ও সেখানকার কার্যক্রম নিবিড় পর্যবেক্ষণ। ১৯৭৯ ও ১৯৮১ নিয়মিত বিসিএস ব্যাচের কোটাতে পরিচালিত দু’টি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের অধ্যক্ষ ছিলেন ১৯৬৪ ব্যাচের সিএসপি শ্রদ্ধেয় খালিদ শামস। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভেন্টদের (সুশীল সেবক) মনোভঙ্গী মূল্যবোধে প্রকৃত প্রস্তাবে গণবান্ধব হয়ে গড়ে তোলার পক্ষপাতি শুধু ছিলেন না, এ নিয়ে তার চিন্তাভাবনা ছিল সুদূরপ্রসারী।

প্রয়াত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওপর আমার সাম্প্রতিক একটি লেখা পড়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি আমাকে জানান:
‘ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওপর তথ্যবহুল লেখাটি ভালো হয়েছে। আমার সাথে তার বন্ধুত্ব ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় থেকে। তখন থেকেই দেখেছি দেশ ও মানুষকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করতেন। গ্রামের গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও বীমা কার্যক্রম সে সময়ের জন্য ছিল একটি অসাধারণ ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন। পরবর্তীতে কোটাতে থাকার সময় প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে যেতাম সাভারের গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার ধ্যানধারণার সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য। সকালের নাশতা খাওয়ার আগে আমাদের সবাইকে সবজি ক্ষেতে কাজ করতে হতো। কোনো মাফ নেই কারো, আমাকেও নিড়ানি করতে হয়েছে।’ আমার দিব্যি মনে আছে, সবজি ক্ষেতে ধান ক্ষেতে আমরা সবাই কাজ করতাম। সেই প্রথম ডা: চৌধুরীর সাথে আমার সাক্ষাৎ। ক্যান্টিনে যার যার খাবার নিজে ট্রেতে নিয়ে এসে টেবিলে এক সাথে বসে খেতে হতো, বাসনও নিজেদের নির্ধারিত স্থানে পরিপাটি আকারে রেখে আসতে হতো। ঝাঁকড়া চুলের ডা: চৌধুরী আমাদের সাথেই খেতেন- যেন একই মাঠের কামলা। সেই প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়ের পর বহুবার বহু উপায় উপলক্ষে তার সাথে আমার দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। শেষের দিকে বহু সেমিনার, মুক্ত আলোচনায় পাশাপাশি বসে মতবিনিময় করেছি। স্পষ্টবাদিতায় তিনি কোনো ব্যক্তি বা দলানুগত্যের ধার ধারতেন না।’

ডা: চৌধুরী সবসময় উদ্ভাবনীমূলক কর্মকাণ্ড বা চিন্তাচেতনায় নিবেদিত থাকতেন। খালিদ শামস স্যার আমাকে আরো লিখেছেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকে তাঁতীদের সাথে ‘গ্রামীণ চেক’ নিয়ে কাজ শুরুর সময় সে আমাকে প্রচুর উৎসাহ দিয়েছিল। গণস্বাস্থ্যের জমি ছিল সিরাজগঞ্জে। আমার প্রস্তাব গ্রহণ করে জাফরুল্লাহ সেখানে সুতা রঙ করা এবং তাঁতীদের বোনা চেক ও অন্যান্য কাপড় প্রসেসিংয়ের জন্য স্থাপন করে ‘গণস্বাস্থ্য-গ্রামীণ টেক্সটাইল মিল’। তবে মিল লোকসানের সম্মুখীন হওয়ার কারণে ‘গ্রামীণ উদ্যোগ’ এই যৌথ প্রকল্প থেকে সরে আসে।’

সর্বজনীন চিকিৎসসেবা ও সুলভ মূল্যে খাটি দেশী ওষুধ গণমানুষের জন্য সংস্থান কল্পে তার বড় অবদান জাতীয় ঔষধ নীতিমালা প্রবর্তনে ভূমিকা পালন। তার এই সৃজনশীল অয়োময় প্রত্যয়ের প্রেক্ষাপট রচনা প্রসঙ্গে সাবেক সচিব এ জেড এম সামসুল আলমের সূত্র উল্লেখ করে একটি বিশ^স্ত বয়ান থেকে সংক্ষেপিত নিচের উদ্ধৃতিটি স্বব্যাখ্যাত- ‘রাষ্ট্রপতি হোসেইন মোহম্মদ এরশাদ ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন। ডাক্তার চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নামে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা এনে তা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। রাষ্ট্রপতি এরশাদ ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করতেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ক্রমাগত বিদেশী দূতাবাসের চাপ আসতে থাকে।… নানামুখী চাপে তৎকালীন সংস্থাপন সচিব ৬২ ব্যাচের সিএসপি অফিসার এ জেড এম শামসুল আলমকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। তদন্তের নির্দেশনা পেয়ে এ জেড এম শামসুল আলম সংস্থাপন সচিবের কাছে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বামপন্থী সমাজকর্মী। আর আমি একজন ডানপন্থী সরকারি কর্মকর্তা। তার মতো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমার তদন্ত রিপোর্ট প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। আমি তদন্ত কর্মকর্তা থেকে অব্যাহতি চাই।’ এদিকে ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীও তার তদন্ত কর্মকর্তা সম্পর্কে খোঁজখবর শেষে সংস্থাপন সচিবের কাছে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন’ এ জেড এম শামসুল আলম যদি আমার তদন্ত কর্মকর্তা হয়ে থাকেন তাহলে এই তদন্তে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এখানে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।’

তদন্ত শেষ হলো। তদন্ত কর্মকর্তা গোপনে রুমের দরজা বন্ধ করে রিপোর্ট লিখছেন। চারিদিক থেকে তার ওপর নজরদারি। বলাবলি হচ্ছিল এবার ডাক্তার জাফরুল্লাহর আর রক্ষা নেই। তদন্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত করার এক পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করলেন। বঙ্গভবন থেকে অনুমতি দেয়া হলো। তদন্ত কর্মকর্তা প্রায় ঘণ্টাখানেক রাষ্ট্রপতিকে তদন্তের বিভিন্ন দিক অবহিত করলেন। এরপর তার হাতে রিপোর্ট পেশ করলেন…। আশ্চর্যের বিষয়, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী শাস্তির পরিবর্তে কয়েক দিন পরে উল্টো মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হয়ে গেলেন! তদন্ত কর্মকর্তা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছিলেন যে, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর ষড়যন্ত্রের শিকার। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো নিম্নমানের ওষুধ বানিয়ে সীমাহীন মুনাফা করছিলো। তারা এ দেশের মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে ওষুধের প্রাথমিক পরীক্ষা করছিলেন। এ বিষয়ে ডা: চৌধুরী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছিলেন। তাকে শায়েস্তা করার জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলো একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে। আর তাতে বিদেশী দূতাবাসগুলোকেও কাজে লাগানো হচ্ছিল।’

বস্তুত ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বদান্যতায় বাংলাদেশের জাতীয় ওষুধনীতি লাভ। বাংলাদেশ থেকে এখন বিদেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে। বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলো একে একে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গেছে। সেদিন এ জেড এম শামসুল আলম সঠিক দায়িত্ব পালন না করলে ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী হয়তো থেমে যেতেন। যেমন বারবার তাকে থামানো হয়েছিল করোনা সংক্রমণের সময় স্বল্পমূল্যে দ্রুত শনাক্তকরণ পদ্ধতি প্রক্রিয়া প্রচলনের ক্ষেত্রে, বেসরকারি খাতে গণহাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট হওয়া থেকে। ২০২০-এর মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটার পরপরই ২৫ মার্চ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় আমার রসরচনা ‘করোনার জবানবন্দী’ পড়ে ডা: চৌধুরী আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। ওই লেখায় করোনার জবানীতে বলা হয়েছিল ‘সব কর্তৃপক্ষের উচিত সম্ভাব্য সবাইকে শনাক্তকরণের পরীক্ষাপদ্ধতি প্রক্রিয়া সহজসাধ্য বা নাগালের মধ্যে আনা।’ আরো বলা হয়েছিল, ‘আমাকে নিয়ে ভূরাজনীতি, আধিপত্য বিস্তারের প্রয়াস এবং ওষুধবাণিজ্য শুরু হবে।’ ডা: চৌধুরী কয়েকবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, কিন্তু তার সেই ৩৩২ টাকার সাধারণ চিকিৎসা ব্যয়ের বাইরে যাওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না।

ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমৃত্যু মানবসেবা এবং সত্য ও ন্যায়ন্যায্যতার স্বপক্ষে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন।

লেখক : সরকারের সাবেক সচিব
এনবিআরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান