- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০২ জুলাই ২০২২
অংশ নেয়া দলগুলোকে দুই গ্রুপে ভাগ করা। এরপর দুই গ্রুপের সেরা দু’টি করে দল সেমি ফাইনাল শেষ করে ফাইনালে উঠতো একটি করে দল। এভাবেই চলে আসছিল পুরুষ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য সাফে আর এই সেমি ফাইনাল-ফাইনাল পর্ব থাকছে না।
হোম অর অ্যাওয়েতে হবে নতুন আঙ্গিকের সাফ ফুটবল। সাত দলের সাফে এতে একেকটি দল ছয়টি করে ম্যাচ খেলবে। এই প্রক্রিয়ায় একেকটি দল নিজ দেশে তিনটি এবং অতিথি হিসেবে অন্যের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলবে। এরপর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল চ্যাম্পিয়ন হবে।
শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ কংগ্রেস শেষে এই তথ্য জানান সাফ সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল।
এখন থেকে এক বছর সাফ ফুটবল এবং পরের বছর সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে। অর্থাৎ ২০২৩ সালে সাফ ফুটবল হলে ২০২৪ সালে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। সাফ ফুটবলের মতো ক্লাবের এই আসরও পুরুষ সিনিয়র সাফের মতো হোম অর অ্যাওয়েতে অনুষ্ঠিত হবে। এখানেও নেই কোনো ফাইনাল। লিগ শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী ক্লাব জিতবে শিরোপা। সাত দেশের লিগ চ্যাম্পিয়ন দলই খেলবে ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে।
সভায় এবারের নরী সাফের নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। ৯ আগস্টের পরিবর্তে এখন তা ২৯ আগস্ট মাঠে গড়াবে। আর ফাইনাল ১০ সেপ্টেম্বর। নেপালেই হবে এই আসর। তবে পোখরার বদলে এখন টুর্নামেন্টটি হবে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে।
এ দিন কংগ্রেসে সাফ সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের কাজী সালাহউদ্দিন। তবে এক সহ-সভাপতিসহ মহিলা সদস্য এখনো নির্বাচিত হয়নি। আগামী বছর কংগ্রেসে এই দুই পদের নির্বাচন।
নরী সাফ ছাড়া এ বছরের বাকি তিন বয়স ভিত্তিক সাফ ফুটবলের তারিখে কোনো পরিবর্তন হয়নি। মূলত উপায়ও নেই। দুই পুরুষ বয়স ভিত্তিক সাফ (অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-২০) একই সাথে এএফসির আসরের প্রস্তুতি পর্ব। তাই যথাসময়েই তা করতে হচ্ছে সাফ কর্তৃপক্ষকে। তবে নারী সাফ পিছিয়ে যাওয়ায় প্রায় একই সময়ে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৭ পুরুষ সাফ ও নেপালের সিনিয়র নারী সাফ।