যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় সাবেক শিল্পনগরী ব্ল্যাকবার্নে লেবার প্রার্থী কেট হলার্নকে হারিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী আদনান হোসেইন।
বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে লেবার পার্টির অবস্থানে দলটির অনেক ভোটারের মধ্যে যে বিভক্তি ও অসন্তোষ রয়েছে, সেটিরই ইঙ্গিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আদনানের এ জয়।
রাজনীতিতে নতুন আসা আদনান হোসেইন ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ৫১৮টি। আর পরাজিত প্রার্থী হলার্ন পান ১০ হাজার ৩৮৬ ভোট। সে হিসাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ১৩২ ভোটে হলার্নকে হারিয়ে দেন আদনান।
একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ক্রেইগ মারে। ফিলিস্তিনের গাজাপন্থী প্ল্যাটফর্ম জর্জ গ্যালওয়েজের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে নির্বাচন করে ৭ হাজার ১০৫ ভোট পান তিনি। অধিকার করেন তৃতীয় স্থান।
৩৪ বছর বয়সী হোসেইন পেশায় আইনজীবী। নির্বাচনে গাজাপন্থী প্ল্যাটফর্ম থেকে দাঁড়ান তিনি। তাঁকে সমর্থন দেয় সাবেক লেবার কাউন্সিলরদের একটি দল। লেবার দলের গাজা নীতিকে ঘিরে দলটি থেকে সরে যান এই কাউন্সিলররা। গত মে মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলটি ব্ল্যাকবার্ন বরোর দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়।
গত জুনের মাঝামাঝি মিডল ইস্ট আইকে হোসেইন বলেছিলেন, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। বলেন, ‘আমি এ কমিউনিটিতেই বেড়ে উঠেছি। আমি তাদের ভাষায়ই কথা বলি। আমি তাদের সংগ্রামের কথা জানি।’
হোসেইন বলেছিলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। তবে এ নির্বাচনে দারিদ্র্যও এক বড় ইস্যু। বড় ইস্যু স্বাস্থ্যসেবাও।’
ইতিপূর্বে ২০১৯ সালের নির্বাচনে একই আসন থেকে লেবার প্রার্থী হলার্ন ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পান। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে প্রথম দিকে সমর্থন জানায় লেবার পার্টি। এ সমর্থনই নির্বাচনে ব্ল্যাকবার্ন আসনে লেবার প্রার্থীর মুসলিম ভোট হারানোর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ আসনে মুসলিম ভোটার ছিলেন প্রায় ৩৫ শতাংশ।
prothom alo