সাকিবকে বিসিবির ইতিবাচক বার্তা

সাকিব আল হাসান

বোতলের ছিপিটা খুলে দিয়েছেন মুমিনুল হক। গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পাকিস্তান সফররত জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান সোজাসাপটা বলে দিয়েছেন, সাকিব আল হাসানকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এরপর ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়, রুবেল হোসেনও সাকিবের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ফেসবুক পোস্টে।

‘হত্যা মামলার আসামি’ সাকিবের পক্ষে সমর্থনের স্রোত আজও অব্যাহত থেকেছে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ১০ উইকেটের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মুশফিকুর রহিমও চুপ থাকেননি। আজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘সাকিবকে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়ার জন্য অভিনন্দন। আমি অনেকবার বলেছি এবং আবার বলছি যে সাকিবের মতো একজন চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে খেলতে পেরে আমি গর্বিত। একজন টিমমেট এবং ভাই হিসেবে, আমি সাকিবের কঠিন সময়গুলোর সঙ্গী এবং আমি তার বিরুদ্ধে তোলা মিথ্যা অভিযোগের সমর্থন করি না। কারণ, আমি জানি সে কখনোই অমানবিক কাজে লিপ্ত হবে না। আমরা সব সময় তোমার পাশে আছি, বন্ধু।’

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নেন সাকিব
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নেন সাকিবএএফপি

সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবও সাকিবের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে কোয়াব বলেছে, সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকতে পারে। তবে তারা মনে করে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিবের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে তাঁর অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কোয়াব আরও বলেছে, শুধু রাজনৈতিক কারণে যেন সাকিবকে মামলার আসামি করা না হয়। তাদের আশা, সাকিবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি সর্বোচ্চ সহানুভূতির সঙ্গে দেখবে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর আগে গতকাল মুমিনুল হক তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলার দায়ে অভিযুক্ত সাকিব ভাই তখন কানাডায় খেলছিলেন। দেশেও ছিলেন না লম্বা সময়। সাকিব ভাইয়ের নামে এমন মামলা অপ্রত্যাশিত। এমন ঘটনা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।’ সব সময় সাকিবের পাশে থাকার কথা জানিয়ে জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যানের আশাবাদ, ‘নতুন বাংলাদেশে সবাই ন্যায়বিচার পাবে।’

এদিকে বিসিবি জানিয়েছে, তারা এখনো সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনার উকিল নোটিশটি হাতে পায়নি। উকিল নোটিশ হাতে পাওয়ার পর বিসিবি এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেবে। পাকিস্তানে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছেও তাই সাকিবের ব্যাপারে আজ রাত পর্যন্ত বিশেষ কোনো বার্তা যায়নি। সাকিব দলে আছেন এবং ৩০ আগস্ট শুরু দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন—এটাই এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত।

বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে সাকিবকে যেমন দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর, তেমনি সাকিবও বিসিবিকে আশ্বস্ত করেছেন, মামলার বিষয়টি তাঁর খেলায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। আগামীকাল সকালে ইসলামাবাদ ক্লাব মাঠের অনুশীলনে দলের সঙ্গে থাকছেন তিনি।

prothom alo