৩০ মার্চ ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
সাভারে কর্মরত প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে নিশিরাতে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারের এসব আচরণ ফ্যাসিবাদের বহি:প্রকাশ।
বৃহস্পতিবার (৩০শে মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গভীর রাতে একজন সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেওয়া সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণে আবারও প্রমাণ হলো দেশে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব উল্লেখ করেন, প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত। গণমাধ্যমের কণ্ঠকে নিস্তব্ধ করার জন্যই কালো আইনকে ব্যবহার করে চূড়ান্ত দমন চালানো হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব প্রথম আলো সম্পাদকের সাফাই গেয়ে বলেন, মতিউর রহমান সাহেবের মতো দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে সরকার প্রমাণ করল যে, তারা গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য কবরস্থ করতে চায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশবাসীর কাছে বার্তা দিতে চায় যে, সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করা যাবে না। বাকশালী কায়দায় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমের ওপর নির্বিচার দমন-পীড়ন চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা নিঃসন্দেহে সরকারের ইশারাতেই হয়েছে। দেশব্যাপী সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়নের ফলে গণমাধ্যমসহ গোটা দেশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, সাংবাদিক মতিউর রহমান, মাহবুব আলম লাবলু ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বলা যাবে না, অভাবের কথা বলা যাবে না, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা বলা যাবে না, ভোট ডাকাতির কথা বলা যাবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না। সরকার দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।