সরকার ও ৪ পত্রিকাকে আইনি নোটিশ পাঠালো এস আলম গ্রুপ

24 Live Newspaper

by নিজস্ব প্রতিবেদক

12 August 2023

এস আলম গ্রুপ, কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও ইসলামী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের বিষয় নিয়ে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের দুই সচিব, চারটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক ও পত্রিকাগুলোর আট সাংবাদিককে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে ১৩ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রসচিব এবং তথ্য ও সম্প্রচারসচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রতিবেদনগুলো সরানো না হলে, এস আলম গ্রুপ ও সাইফুল আলমের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।

এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের পক্ষে বৃহস্পতিবার নোটিশটি জারি করে ল ফার্ম আজমালুল হোসেন কেসি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।

পত্রিকা চারটি হলো- প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার, নিউএজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর’ প্রতিবেদনের জন্য পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান ও পত্রিকার সাংবাদিক সানাউল্লাহ সাকিবকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর এস আলম গ্রুপের সম্পদের তদন্ত বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও চলতি বছরে প্রকাশিত ‘এস আলম গ্রুপের আলাদিনের চেরাগ’ প্রতিবেদনের জন্য পত্রিকার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, সাংবাদিক পার্থ প্রতিম ভট্টাচার্য ও জাইমা ইসলামকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর নিউএজ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘এস আলম গ্রুপ একাই ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে’ প্রতিবেদনের জন্য পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর ও সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় প্রকাশিত ‘কীভাবে ২৪ বছর বয়সী গ্রিনহর্ন ৯০০ কোটি টাকা ঋণ পেলেন’ প্রতিবেদনের জন্য পত্রিকার  সম্পাদক ইনাম আহমেদ, সাংবাদিক জেবুন নেছা আলো ও সাখাওয়াত প্রিন্সকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এরআগে ৬ আগস্ট এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে যে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত পরিচালনা করে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।