অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুতোর টান অন্য কোথাও থেকে আসছে কী না তা জনগণ জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শা পার্কের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে’ তিনি এ মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের ভোট, জনগণের ম্যান্ডেট যারা মাইকিং করে ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছেন, নিজেদের মত করে ভোট দেয়ার জন্য জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি। শেখ হাসিনার আমলের মন্ত্রীরা যারা অপরাধ করেছেন, অবিচার করেছেন- তাদের ধরা, না ধরা, গ্রেপ্তার হওয়া এবং না হওয়া- এটা নিয়ে এধরনের লুকোচুরি কেন খেলছেন? জনগণ কী প্রশ্ন করতে পারেনা? জনগণ কী জানে না? কোনো না কোনো জায়গা থেকে পুতুল খেলার নাচের মত আপনাদের সুতোর টান দিচ্ছে। সেই সুঁতোর টানে আপনারা নাচানাচি করছেন। এটাই তো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, আমরা যেন এক ধরনের ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। এই শুনলাম সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার কয়েকদিন পর শুনলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে ঘুরাফেরা করছেন। আবার শুনলাম সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার দুই-তিন দিন পরে শুনলাম তিনি গ্রেপ্তার হননি। জনগণের সঙ্গে এই প্রতারণা কিসের জন্য? জনগণের সামনে এই লুকোচুরি কিসের জন্য? এটাতো জনগণ জানতে চায়।
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফখরুদ্দীন মঈনুদ্দিনও কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম জড়াতে পারেননি, এই মামলা তো ছিল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। তারপরও তার বিরুদ্ধে মামলা এখনো প্রত্যাহার হচ্ছে না কেন? এটার কারণ কী দেশবাসী জানতে চায়? আপনাদের অন্তরের ভাষা আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন দিয়েছি। এই সমর্থনের পরেও তারা যদি আলো ছায়ার মধ্যে দুলতে থাকে তাহলে তো সামনের দিকে একটা বিপজ্জনক বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
manabzamin