- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৩৮
বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তথাকথিত উন্নয়নের নামে সরকারের দুর্নীতির কারণে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার এত চিৎকার-চেঁচামেচি করছে সব সময় বলছে- আমরা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছি। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন আরো বেশি হচ্ছে। গতকালকের ব্যাপারটা (লোডশেডিং) হচ্ছে অস্বাভাবিক ব্যাপার। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেছে সারাদেশে বেশিরভাগ এলাকায় ছিল না। প্রায় আট ঘণ্টা এই লোডশেডিং চলে। এর থেকে বোঝা যায় সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নাম করে বহু প্রজেক্ট করেছে, টাকা-পয়সা বানিয়েছে শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের একটা বড় রকমের দুর্যোগের মধ্যে, বিপর্যয়ের মধ্যে জাতিকে তারা ফেলে দিয়েছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদগেটে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এতে সমস্যা হয়েছে- নেট বন্ধ হয়ে গেছে, বিদ্যুতের মাধ্যমে যেসব কলকারখানা চলে তা বন্ধ হয়ে গেছে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। যে কৃষিক্ষেতে সেচের ব্যবস্থা করা হয় তা বন্ধ হয়ে গেছে। এক অসহনীয় পরিস্থিতি জাতি অনুভব করেছে।
তিনি বলেন, রাস্তার যে বিভ্রাট ঢাকা শহরে। টঙ্গী থেকে উত্তরা পর্যন্ত আসতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সব ক্ষেত্রে দেখবেন উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হয়ে গেছে।
তথ্য না দেয়ার ব্যাপারে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা ভয়াবহ ব্যাপার। আমরা যে বলছি কর্তৃত্ববাদী সরকার তার যে বহিঃপ্রকাশ তারা যে আরো নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে দেশকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবে দেশের মানুষকে তথ্য থেকে বঞ্চিত করবে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। এখন আর কোনো ফাঁক রইল না একথা বলতে যে, স্বয়ং রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে যদি এই সার্কুলার আসে তাহলে এ দেশ যে পুরো কর্তৃত্ববাদী হয়ে গেছে সেটা আর সন্দেহ নেই।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সার্বিকভাবে প্রোপার প্লানিংয়ের মাধ্যমে তারা (সরকার) কিছু করেনি, সেদিকে তারা মনোযোগী হয়নি। দুর্নীতির জন্য যা যা করা দরকার তাড়াহুড়া করে করেছে। এজন্য একটি পলিটিক্যাল প্রাইস জনগণকে পে করতে হচ্ছে। এটা পলিটিক্যাল প্রাইসে করতেছে তাদের সুবিধার জন্য।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন প্রজেক্ট নেয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতি। এ কারণে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়নি।
তিনি বলেন, সরকার অপরিকল্পিতভাবে পাওয়ার স্টেশন করেছে। গতকালের মতো বিপর্যয় আরো হবে। সরকার যে ধরনের প্রকল্প নিয়েছে তার জন্য জনগণের এ ধরনের সাফারার আরো হবে।