- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১৭ মে ২০২৩, ২২:০৩
পদযাত্রা কর্মসূচিতে জনগণের বিপুল উপস্থিতি প্রমাণ করেছে সরকারের অবৈধ রাজসিংহাসন টলমল করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘১০দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এই পদযাত্রা কর্মসূচি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য শুভ সূচনা। সরকারের এত অত্যাচার, এত নির্যাতন, গুম, খুনের পরও আজকের এই পদযাত্রা কর্মসূচিতে জনগণের বিপুল উপস্থিতি প্রমাণ করেছে সরকারের অবৈধ রাজসিংহাসন টলমল করছে। আজকে যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন তারা ভ্যানগার্ড, তারা আন্দোলনের অগ্রদ্রুত।
বুধবার বিকেলে ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময় ভোট চুরি হয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী বললেন জিয়াউর রহমানের সময় নাকি ভোট চুরি হয়েছে। ভোট চুরি কত প্রকার কী কী, ভোট চুরির সংজ্ঞা আমরা তো আপনাদের সময় থেকে দেখছি। দিনে ভোট হওয়ার কথা সেই ভোট রাতে হয়। আপনি আবার চুরির কথা বলেন লজ্জা করে না? আপনি চুরির কথা বললেন ডাকাতির কথা বলছেন না কেন? চুরি ডাকাতি টাকা পাচার সবই তো আপনাদের আমলে হয়েছে। ৭২ থেকে ৭৫ সালে প্রথম টাকা পাচার করেছে আপনাদের সরকার সেই প্রমাণ আছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা সত্য কথা বললে অনেকেই বলে তারা বিরোধী দল। এমন কথা বলবেই। অথচ আমরা যে কথা বলি সেই কথা কিছুদিন পর সরকারের এমপি মন্ত্রীরা বলে। বিদেশে টাকা পাচার, সেকেন্ড হোম সরকারের এমপি মন্ত্রীরা বানিয়েছে- এই কথা আমরা বহুদিন ধরে বলে আসছি। সেই কথা এখন সরকারের মন্ত্রী এমপিরা বলছে। সরকারের এক মন্ত্রী কয়েকদিন আগে বললেন মন্ত্রীদের মধ্যেও সিন্ডিকেট আছে। আমরা তো এই কথা বহুদিন ধরেই বলে আসছি। আজকে তাদের থলের বিড়াল বের করে দিচ্ছেন তাদের কোনো না কোনো মন্ত্রী।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় ও আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে পদযাত্রা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী প্রমুখ।