সরকারের অবস্থা নড়বড়ে : ডা: জাফরুল্লাহ

Daily Nayadiganta

সমাবেশস্থলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী – ছবি : নয়া দিগন্ত


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার তহবিলশূন্য সরকার, দেউলিয়া সরকার, এই সরকার গদিতে থাকার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে, রিকশাওয়ালার কাছ থেকে, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তহবিল জোগান করতে বিভিন্ন রকমের জরিমানা আদায় করছে। এই সরকারের এই অবস্থান তার পতনের অবস্থান। একটু জোরে ধাক্কা দিলেই তিনারা পড়ে যাবেন।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। কিভাবে হয়েছে সেটা আপনারা পত্রপত্রিকায় দেখেছেন। যাদের নিয়ে সরকার চালায় শত হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এটা পত্রপত্রিকার কথা না এটা সরকারি মন্ত্রীর কথা। আমলারা তো লুট করবেই। কারণ তারা রাতের আঁধারে জনগণের ভোট লুণ্ঠন করে এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাই তাদের ব্যাপারে কখনো কথা হবে না।’

তিনি মওলানা ভাসানী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটা স্বাধীন-সার্বভৌম জনকল্যাণকর রাষ্ট্র। আজকে আপনাদের এই সংগ্রাম যদি অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের ওষুধের মূল্য ১৫ দিনের মধ্যে অর্ধেক হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আপনাদের বাড়ির কাছে পৌঁছাবে। সবার কর্মসংস্থান হবে। তবে জনগণের কাছে সরকার দিতে হবে। এককেন্দ্রিক সরকার কখনো মুক্তি আনতে পারে না। তবে তার জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। মওলানা ভাসানীর সেই বাণী যতদিন পর্যন্ত সকল মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছবে না ততদিন পর্যন্ত আমরা থামবো না। সবাইকে না খাইতে দিয়ে আমরা খাওয়া দিতে পারি না। কিছু লোক খাবে বাকিরা খাবে না তা হবে না। আজকে শ্রমিকের কি অবস্থা দেখেছেন?’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো: আতাউল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরসহ অনেকে।