১১ মে ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
আওয়ামী শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, এক সময় যারা ব্রিফকেস নিয়ে ঢাকা শহরে ঘুরতো, পকেটে খাওয়ার থাকতো না, মানুষের কাছ থেকে সিগারেট চেয়ে খেতো, আজকে তারা ব্যাংকের মালিক। সরকারি ব্যাংকের টাকা নিয়ে তারা কীভাবে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন? যারা এ রকম সরকারি ব্যাংকের টাকা নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন, তাদের নামগুলো প্রকাশ করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১১ই মে) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে। পকেটে টাকা না থাকায়, মানুষ বাজারে গিয়ে কাঁদে। বাজারে আজ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দানাদার খাদ্য থেকে শাক-সবজি, মাছ, মাংস সবকিছু বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু সিন্ডিকেট করে সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, যারা মুড়ি চানাচুর তৈরি করে জীবন নির্বাহ করে তারা আজ বড় বড় কোম্পানির কাছে টিকতে পারছে না। এসব বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখন মুড়ি-চানাচুরের মতো ব্যবসা করতে শুরু করেছে।
কামাল মজুমদার আরও বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এসএমই খাতের বড় ভূমিকা রয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশন এ খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। তারা ৫০০ কোটি টাকা তহবিল চেয়েছে। ৫০০ কোটি টাকা নয়, পাঁচ হাজার কোটি টাকা দেওয়া প্রয়োজন। তারা কর্মসংস্থান করছে, উদ্যোক্তা তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। অন্যদিকে কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। বার বার পুনঃ-তফসিল করছে, মওকুফ নিচ্ছে। অথচ এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছি। বেকার সমস্যার সমাধান করতে হবে। অর্থনীতি এগিয়ে নিতে হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে পারবো না। অর্থনীতি যাতে শক্তিশালী হয় সে জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে যে লুটপাট করে বড়লোক হচ্ছে, তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে আরও বড় হওয়ার জন্য। প্রত্যেকটা জায়গায় সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট করে বড়লোক হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, সকলে যাতে সমান সুযোগ পায় সে জন্য প্রতিযোগিতা কমিশনের সৃষ্টি। এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা কোনো ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হলে প্রতিযোগিতা কমিশন ভূমিকা পালন করতে পার।