সচিবালয়ে সাংবাদিককে ৫ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর

সচিবালয়ে সাংবাদিককে ৫ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর – ছবি : সংগৃহীত

দেশের প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস-এর কক্ষে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ওই সাংবাদিককে আটকে রাখার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস-এর কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে এদিন রাতে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সেখান থেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

শাহবাগ থানার পুলিশের কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরানো এবং অনুমতি ছাড়া মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কিছু অসৎ উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ দিকে ওই পত্রিকার সাথে যোগাযোগ করা হলে পত্রিকার ব্যবস্থানা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ বলেছেন, আক্রোশ থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ, টিকা নিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে, যে প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেই আক্রোশ থেকে তাকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি আটকে রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দেশের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের পিএস সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সচিবালয়ে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার কক্ষে ঢুকে রাষ্ট্রীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ রোজিনা ইসলাম তার ব্যাগে ভরে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং মোবাইল দিয়ে ছবি তোলেন। এসময় তিনি ধরা পড়েন।

পুলিশ বলছে, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের যেসব সাংবাদিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভবনে ঘটনাস্থলে যান তারা বলছেন, রোজিনা ইসলামকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হয় এবং একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান। পরে তাকে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে সেখান থেকে বের করে এনে সরাসরি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

শাহবাগ থানার সামনে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র : বিবিসি