- ২৪ ডেস্ক
ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একটি প্রতিনিধিদল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন, বৈঠকটি আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। খবর ইউএনবি।
বিএনপির দলীয় পতাকা
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ বিএনপির ওই নেতা আরও জানান, তাদের দলের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি দূর করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল চায় না এই মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করুন, কারণ এতে নতুন রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।
এদিকে, তিনি আরও বলেন, তারা আগামীকাল (বৈঠকের পরদিন) ইউনূসের কাছে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন এবং সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা ঘোষণার অনুরোধ জানাবেন।
এর আগে দিনের শুরুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘আমরা সোমবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে আসছি। কিন্তু এখনও সময় দেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি করেনি, তারা কেবল কয়েকজন বিতর্কিত উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছিল।
‘আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের একটি রূপরেখা চেয়েছিলাম। যদি তিনি রূপরেখা না দিয়ে পদত্যাগ করতে চান, সেটা তার নিজের সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু আমরা তার পদত্যাগ চাইনি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দলটি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল, ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা অবিলম্বে ঘোষণা না করা হলে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থে নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ কতিপয় ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাকে’ অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ এবং বুধবার এক অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধানের সরকার ও নির্বাচন সংক্রান্ত মন্তব্যে হতাশ হয়ে ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছিলেন।