আন্দোলনে শ্রমিকদের ওপর হামলা, দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে নূন্যতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত দুই শ্রমিক রাসেল হাওলাদার এবং আঞ্জুয়ারা খাতুনের ওপর হামলায় পুলিশি সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে হামলাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চেয়েছে ওয়াশিংটন। সেই সঙ্গে শ্রমিক নেতা জুয়েল মিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন শ্রম দপ্তরের আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, একদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে সর্বনিম্ন মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর সহিংস ক্র্যাকডাউনের নিন্দা করেছিলেন।
মার্কিন শ্রম দপ্তরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি বলেন, বাংলাদেশের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নিস্টদের ওপর সহিংসতা বৃদ্ধি এবং দমন-পীড়ন নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ডিজাইন এক্সপ্রেস ফ্যাক্টরির ২৬ বছর বয়সী রক্ষণাবেক্ষণ অপারেটর এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য হাওলাদার এবং সেলাই মেশিন অপারেটর দুই সন্তানের জননী ২৩ বছর বয়সী আঞ্জুয়ারা খাতুন বিক্ষোভের সময় নিহত হন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই শ্রমিকদের সমাবেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করতে, শ্রমিকদের ওপর সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ করতে এবং রাসেল হাওলাদার ও আঞ্জুয়ারা খাতুন হত্যায় পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত পরিচালনা করতে।
সেই সঙ্গে নূন্যতম মজুরি আন্দোলনের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশনের শ্রমিক সংগঠক জুয়েল মিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে তারা শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে এমন ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতের অস্থিরতা রোধ করার জন্য, মার্কিন শ্রম দপ্তর বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধনেরও আহ্বান জানাচ্ছে।
মানব জমিন