- খেলাধুলা প্রতিবেদক
নারী বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বড় এক ধাক্কা খেল বাংলাদেশের। বিশাখাপত্তনমে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ডে ক্লার্কের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা, যা বাংলাদেশের সেমির সমীকরণকে অনেকটাই কঠিন করে তুলেছে।

একটা পর্যায়ে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মারিয়ানা কাপ ও চার্লি ট্রায়ন। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের ৮৫ রানের অনবদ্য জুটি প্রোটিয়াদের জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। কাপ ৫৬ ও ট্রায়ন ৬২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে আউট হলেও জয়ের পথ তৈরি করে দিয়ে যান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে স্বর্ণা আক্তার খেলেন এক ঐতিহাসিক ইনিংস। মাত্র ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি, যা বাংলাদেশের নারী ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শারমিন আক্তার, যিনি ৭৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। এছাড়া অধিনায়ক জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। উদ্বোধনী জুটিতে রুবাইয়া হায়দার ও ফারজানা হক দলকে ভালো সূচনা এনে দেন, তারা যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ রান করেন।
২৩৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই নাহিদা আক্তারের আঘাতে হোঁচট খায় প্রোটিয়ারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তাজমিন ব্রিটসকে প্যাভিলিয়নে ফেরান এই অভিজ্ঞ স্পিনার। এরপর লরা উলভার্ট ৩১ রানে রান আউট হলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু মাঝপথে কাপ-ট্রায়নের জুটি এবং শেষে ক্লার্কের ক্যামিওতে জয়ের হাসি হাসতে পারেনি টাইগ্রেসরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৮ রান। বোলার নাহিদা আক্তারের করা প্রথম বলে চার ও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ২৯ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকা ডে ক্লার্ক। তার এই ইনিংসে বৃথা যায় স্বর্ণার রেকর্ড গড়া ফিফটি এবং রিতু মণির ৮ বলে ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস।









