শুনেছি কারওয়ানবাজারে পণ্য চারবার হাতবদল হয়, প্রতি ট্রাকে ৭,০০০ টাকা চাঁদা নেয়: অর্থ উপদেষ্টা

পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ও বাজারে সিন্ডিকেট দমনে সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, ‘শুনেছি কারওয়ানবাজারেই পণ্য চারবার হাতবদল হয়। ট্রাকে চাঁদাবাজি হয়। একটা ট্রাক ঢাকা পর্যন্ত আসতে ৭ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এগুলো বন্ধ করা যাদের দায়িত্ব, তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। এটা ফাইন্যান্স বা কমার্স মিনিস্ট্রির দায়িত্ব না।’

এছাড়া ভালো ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্যে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

রোববার (১৮ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাত—সবই হবে ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসার ধরন হোক সরকারি বা বেসরকারি, অভ্যন্তরীণ ব্যবসা কিংবা এক্সটার্নাল ট্রেড।’

ব্যবসা ছাড়া কর্মসংস্থান হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্যবসা ছাড়া একটা অর্থনীতি চলতে পারে না। এটা ছাড়া কর্মসংস্থান ও মানুষের আয়ের সংস্থান হবে না। এখানে বেসরকারি খাত মূল ভূমিকা পালন করবে। তবে তাদের জন্য ফ্রি ফর অল করা যাবে না।’

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সেকেন্ড কনসার্ন হলো মূল্যস্ফীতি। কোনোমতেই চাঁদাবাজি, একচেটিয়া ব্যবসা, মজুতদারী করতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

এলডিসি থেকে উত্তরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে ডব্লিউটিওর (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) কিছু শর্ত আছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।’

এছাড়া ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে খোলাবাজারে অবিলম্বে পণ্য বিক্রি শুরু হবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এক কোটি পরিবারের তালিকা প্রণয়নে ত্রুটি থাকতে পারে। সেই কারণে এখন হঠাৎ করে বন্ধ বিক্রি বন্ধ করে দিলে অনেক সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাবে।

এর আগে রোববার সকালে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

পরে অর্থ বিভাগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে এডিবি আরও বড় পরিসরে কাজ করবে। সংস্থাটির অর্থায়নে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেগুলোর কাজ চলমান থাকবে। ভবিষ্যতের জন্য পাইপলাইন প্রকল্প নির্ধারণেও সংস্থাটি সরকারকে সহায়তা করবে।

tbs