ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণইফতারে হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, ‘কোনো কিছু সামাল দিতে না পেরে সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এখন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইফতার মাহফিল পণ্ড করতে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই তারা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে এবং আলেম সমাজের ওপর নিপীড়ন নেমে আসে। এর কারণ প্রভুদেরকে খুশী করা।’
শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সভা ও সবধরণের অনুষ্ঠান বিদ্যমান রয়েছে। এসব অনুষ্ঠান ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ সাহেবদের সাড়ম্বর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে অথচ ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা ও হামলা এটা কি গভীর চক্রান্তের অংশ? মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে গেলে ওবায়দুল কাদের সাহেবদের গা জ্বালা করার অর্থ কি?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে কখনো ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুঁড়ে ফেলে দেয়। দেশবাসী ভোট-পার্লামেন্ট হারিয়েছে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন হারিয়েছে, শেষমেষ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা নিজেদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধও হারাতে বসেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জিয়াউর রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধে সরকার নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশেরও নিন্দার ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
Bangla outlook