তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মোবিন চৌধুরী ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দার বেইমানি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ৬০ জন প্রার্থী। তারা বলেছেন, দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বেইমানি করেছেন। তারা নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। চেয়ারপারসন ও মহাসচিব অন্য একটি দলের সঙ্গে আতাত করে আমাদেরকে কোণঠাসা করে রেখেছে, যাতে আমরা নির্বাচন করতে না পারি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক আলোচনায় ৬০ প্রার্থীর পক্ষে এ অভিযোগ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডা. খন্দকার ইমদাদুল হক সেলিম। শুরুতে বক্তব্য দেন নেত্রকোনা-৫ আসনের প্রার্থী প্রিন্সিপাল আব্দুল ওহাব হামিদি। গীতা পাঠ করেন ময়মনসিংহ-৪ আসনের প্রার্থী দীপক চন্দ্র গুপ্ত। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৬ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কাজী সিরাজুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ-২ আসনের মো. জামাল উদ্দিন শেখ, নেত্রকোনা-৪ আসনের মো. আল মামুন, কুমিল্লা-২ মো. মাইনুদ্দিন, বরগুনা-১ মো. ইউনুছ সোহাগ, যশোর-৫ মেজর (অব.) মোস্তফা মনির প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন নেত্রকোনা-৩ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান খান।
আলোচনা সভায় তৃণমূল বিএনপির কো-চেয়ারপারসন কেএ জাহাঙ্গীর মাজমাদার প্রধান অতিথি ও ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান খান সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও তারাও পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে যশোর-৫ আসনের এমপি প্রার্থী মেজর অব মোস্তফা মনির বলেন, শমসের-তৈমুর আর অন্তরা হুদা দলের টাকা আত্মসাৎ করে জাতির সঙ্গে যে হারে নাটক-তামাশা করে যাচ্ছে। জাতি এদের বিচার করবে। এরা আমাদের মাঠে লেলিয়ে দিয়েছে। ওরা আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করে না। এমনকি তারা ফোনও ধরে না।
কিসের টাকা আত্মসাৎ করেছেন নেতারা- এমন প্রশ্নের জবাবে যশোর-৫ আসনের এ প্রার্থী বলেন, শমসের, তৈমুর ও অন্তরা সারা দেশের তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচন পরিচালনার বিশেষ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করে এখন আমাদের কারও সঙ্গে যোগযোগ করছে না।
এ সময় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব সাক্ষাৎ করে পরিস্থিতি সমাধান না করলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন এমপি প্রার্থীরা। এমনকি তারা তৃণমূল বিএনপির এমপি প্রার্থীরা শমসের মবিন ও তৈমুর আলমকে বহিষ্কার করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সমকাল