ছাত্র বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার রাত থেকেই কারফিউ জারি বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বিক্ষোভের জেরে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার কারণে বিদেশ সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকালেও রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায় বাংলাদেশ পুলিশ। রামপুরার আবাসিক পাড়া এলাকায় কয়েক হাজার জন প্রতিবাদীদের মধ্যে আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। বিক্ষোভের ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশী পুলিশ অফিসার। বাংলাদেশের সংবাদসংস্থা এএফপি-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মুখপাত্র ফারুক হোসেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রবিবার স্পেন এবং ব্রাজিলে যাওয়ার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সচিব নয়ীমুল ইসলাম খান এএফপিকে জানান, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতির জেরে স্পেন এবং ব্রাজিল সফর বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’’
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাম্প্রতিক পরিস্থিতে বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ বলেই খবর। ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৩০০-র বেশি পড়ুযা। রাজধানী ঢাকায় পুলিশ এর আগে দিনের জন্য সমস্ত জনসমাগম নিষিদ্ধ করার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, হাসিনার সরকারের চাকরির কোটা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে প্রতিবাদ জানিয়েই পথে নেমেছে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভ আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০৫ বলেই জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা মারফত। সমস্ত সমাবেশ এবং জনসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা সত্বেও প্রায় ২০ মিলিয়ন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের মোকাবিলা হয়। টেলিযোগাযোগ পরিষেবাও ব্যাহত হয়।
Source: News 18 Bangla