লীগের আমলে ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানতাম:

 

লীগের আমলে ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানতাম:
১। উনি সু’দ খায়।
২। উনি আ্য’মে’রি’কার দা’লা’ল।
বিএনপি ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানাচ্ছে:
১। উনি মুক্তিযুদ্ধ করে নাই।
২। উনি জিয়ার নাম না নিয়ে ভুল করসে।
৩। উনি নির্বাচন দিতে চায় না।
আমি ফেসবুকে গত দুইদিন যা জানলাম:
১। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনারত। সেখানে জন্মভূমির স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে নেমে পড়েন তিনি।মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের খবর পৌঁছে দিতে সেখানকার স্থানীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজটি নিয়মিত করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সমর্থন জোগাতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে প্রকাশ করতেন ‘বাংলাদেশ নিউজলেটার’।
২। চীনের হাইনানে প্রাদেশিক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।
৩। মাইক্রোসফটের বিল গেটস নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রফেসর ইউনুসকে পুরো সিলিকন ভ্যালি শহর দেখিয়েছিলেন।
৪। নোবেল, অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড, মার্কিন কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ড- পৃথিবীর ইতিহাসে ৩ টা পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ মাত্র ১২ জন! সেই ১২ জনের একজন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৫। ‘অলিম্পিক গেমস’ পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলেন মশাল বাহক, জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ অলিম্পিকে মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৬। ২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো। ২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালিয়ানরা উনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। পুরা অলিম্পিকের মডেলই ছিল থ্রি-জিরো।
৭। সারা পৃথিবীর ১০৭ টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাকে এবং তার গ্রামীন ব্যাংককে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিলো।
৮। ড. ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পীকার। স্পীচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার। কখনো আরো বেশী।
৯। বিশ্বের লিডিং ইন্টালেকচুয়ালের যেকোনো তালিকায় টপ ১০ এর ভিতরে থাকেন ড. ইউনূস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ইউনূসের বিকল্প খুঁজে পাওয়াটা খুবই কঠিন, কিন্তু তিনি আমাদের বাংলাদেশের! এদেশে আর এমন ইউনূস জন্মাবে কিনা আজও সন্দেহ।
১০। কোর্ট-কাছাড়ির ৮ তলার এজলাসে তাকে যখনই হাজিরা দিতে হতো সেসময় কোর্ট বিল্ডিং এর লিফট বন্ধ করে দেয়া হতো। ৮২ বছরের অশীতিপর এই বৃদ্ধকে প্রতিবারই হেটে হেটে ৮ তলায় যেতে হতো। এবং এই ঘটনা নাকি ৪০ বারের মত ঘটেছে।
বিএনপির ফজলু একদম উচিত কথা বলছে। আমরা উনাকে যত বড় মাপের ভাবি উনি তত বড় মাপের না। উনাকে আল্লাহ এত বড় মাপের মানুষ বানাইসেন যে বিএনপির নব্য দি’ল্লীর দা’লা’লদের পক্ষে সেটা মাপা কোনদিম সম্ভব না।
– শেখ আশিক
সাবেক শিক্ষার্থী, বুয়েট
From Facebook entry

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here