র‌্যাপিড ডট ব্লট সরকারের অনুমতি পাবে বলে আশা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর

র‌্যাপিড ডট ব্লট সরকারের অনুমতি পাবে বলে আশা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর – সংগৃহীত

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বিএসএমএমইউ’র পরীক্ষা পাসের পর অবশ্যই এই কিট সরকারের অনুমতি পাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তারা র‌্যাপিড ডট ব্লট কিটের বিকল্প কোনো বিকল্প বিবেচনা করছে না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি শতভাগ নিশ্চিত যে কিট বিএসএমএমইউ’র ট্রায়ালে পাস করবে কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য এখন আক্রান্তদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশবাসীর জন্য যে কিট প্রয়োজন তা উৎপাদন বিলম্ব হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের বিলম্বে স্বীকৃতির কারণে অন্য বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবক হিসেবে বিজনের কৃতিত্ব নিয়ে নিতে পারেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী কিটের পর্যাপ্ত উৎপাদনে ঋণ হিসেবে সরকারের কাছে ৫০ কোটি টাকা দাবি করেন।

বিজন কুমার শিল বলেন, তিনি এই কিটটি অ্যান্টি-বডি এবং অ্যান্টিজেন উভয় পরীক্ষার জন্য লালা এবং এমনকি সোয়াব পরীক্ষার জন্য তৈরি করেছিলেন।

গত ১৩ মে কোভিড -১৯ পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০০টি কিট দেয়া হয়। পরে আরো ২০০টি কিট পারফরম্যান্স ট্রায়ালের জন্য দেয়া হয়েছে। ব্যয় হিসাবে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকাও জমা দিতে রাজি আছে গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য র‌্যাপিড ডট ব্লট নামক কিট তৈরি করে। বিএসএমএমইউ ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফ উল্লাহ মুন্সী বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে মন্তব্য করতে রাজি হননি। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ’র সাবেক ভিসি প্রফেসর নজরুল ইসলাম এবং সাবেক ভিসি অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক প্রমুখ।