রেটিং এজেন্সিগুলো বাংলাদেশের মান কমাল কেন

যদি বলি ‘এর পেছনে রয়েছে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র’ কিংবা ‘এর পেছনে আমেরিকা কলকাঠি নাড়ছে,’—তাহলে আমার এই নীরস লেখারও পাঠকপ্রিয়তা বেড়ে যাবে। বিশেষত দু–একজন পদস্থ কর্তা, যাঁরা সম্প্রতি সবকিছু এই সুরেই ‘ডিফেন্ড’ করছেন—তাঁদের কাছে বড়ই কদরপ্রাপ্ত হব।

কিন্তু দুঃখিত, পারছি না। কারণ, এই ঋণমান বা রেটিং এজেন্সিগুলোর কাজ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে অর্থনীতিবিদের দায়িত্ব পালনকালে জড়িত ছিলাম। মফস্‌সলের উকিলের মতো অনেক বিষয়ে তর্ক ও দর-কষাকষিতে লিপ্ত হয়েও ওঁদের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারিনি। কারণ, ওদের মূল্যায়ন গাণিতিক সূত্রের মতোই অনড়। এখানে কী ভালোবাসা কী হিংসা কোনোটিই কাজ করে না।

মুডিসের রেটিং কি ‘পলিটিক্যাল’

তিনটি প্রধান বৈশ্বিক রেটিং এজেন্সি হচ্ছে মুডিস, স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস বা এসঅ্যান্ডপি এবং ফিচ। গত মে মাসে মুডিস বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং বিএ ৩ থেকে নামিয়ে বি১-এ পুনর্নির্ধারণ করেছে। যেখানে প্রতিটি দেশ ক্রমান্বয়ে ভালো রেটিং পাওয়ার চেষ্টা করে থাকে, সেখানে গত এক যুগ পর এই মান কমানো দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। অর্থনীতির কর্তারা যে ভালো দক্ষতায় নীতি পরিচালনা করছেন না, এটি তার সতর্কবার্তা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এই মান পতনকে ‘জিওপলিটিক্যাল’ বলে ব্যাখ্যা দেন। শুনে মনে হচ্ছে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বোঝা কমিয়ে দিলেন। গত ১২ বছর মুডিস এই মান বজায় রাখার পর হঠাৎ কী এমন ভূরাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হলো বাংলাদেশ? মুডিসের মতো একটি অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিল বোঝা গেল না। গভর্নর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো একটি জ্ঞানভিত্তিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান হিসেবে এহেন রাজনীতিকসুলভ মন্তব্যে দায়িত্বের পরিচয় দেননি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাজের সূত্রে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে প্রতিবছর রেটিং এজেন্সিগুলো মোকাবিলা করেছি। তৎকালীন গভর্নর অধ্যাপক আতিউর রহমান মনেপ্রাণে চাইতেন এই রেট যেন বাড়ানো যায়। তাঁর সময় থেকেই এই রেটিং প্রথা শুরু হয় এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মানের স্বীকৃতি পায়, অনেকটা আগের দিনে ভালো ছাত্রের ম্যাট্রিকে ফার্স্ট ডিভিশন পাওয়ার মতো স্বীকৃতি।

আমি এই সংস্থাগুলোর বিশ্লেষকদের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সিঙ্গাপুরে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে গিয়েও ব্যক্তিগত সময় থেকে আলাদাভাবে এই তিন সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি, দর-কষাকষিও করেছি। তখন প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বগমন ছিল চমৎকার, যা দিয়ে ‘ভাইব্রেন্ট বাংলাদেশ’–এর এক বিপণন ব্র্যান্ডিং করেছিলাম। ওদিকে রিজার্ভের ভান্ডার ছিল লক্ষ্মীর আশীর্বাদপুষ্ট।

তখন ঋণ-জিডিপি হারও ছিল বেশ নিরাপদ। টাকার মান ও বিনিময় হার ছিল সুস্থির। লেনদেনের ভারসাম্যে ছিল স্বস্তির নিশ্বাস। চলতি হিসাব নিয়ে ছিল না কোনো দুশ্চিন্তা। রাজনৈতিক অস্থিরতাও কিঞ্চিৎ দিবানিদ্রায় গিয়েছিল। খেলাপির হিসাব আসলটিই ছিল। এখনকার মতো সুচতুর সংজ্ঞায়নে খেলাপিকে ‘অখেলাপি গুণধর’ বানানোর কৌশল সম্ভবত তৎকালীন অর্থমন্ত্রী রপ্ত করতে পারেননি। ব্যাংক পরিচালকদের জন্য তখনো লর্ড কর্নওয়ালিসের আদর্শে চিরস্থায়ী জমিদারি প্রণীত হয়নি। তুলে ধরেছিলাম এই ধনাত্মক দিকগুলো, যেগুলো রেটিং বিশেষজ্ঞরা খুব ভালো চোখেই দেখেছেন। কিন্তু ফেঁসে গিয়েছি দুই জায়গায়—কম মাথাপিছু আয় ও রাজস্ব অক্ষমতা বা এককথায় ব্যাপক ঋণনির্ভর সরকারি বাজেট, যার অপর পিঠের নাম কর আদায়ের অদক্ষতা।

মাথাপিছু আয় ‘দিনে দিনে বাড়ে যেন শশিকলা সম’। এখানে প্রয়োজন অপেক্ষার। কিন্তু অর্থনীতির উন্নতি সত্ত্বেও কর আদায়ের দক্ষতা ও সদিচ্ছা বা এককথায় কর-জিডিপি হার দিন দিন অধঃপতনে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের মান টেনে নামানোর জন্য প্রধানত দায়ী। এই অবক্ষয়ের মূলে রয়েছে একটিই দর্শন—সর্বব্যাপ্ত ধনিকতুষ্টির প্রণোদনা। তাঁরা কর দিতেও পছন্দ করেন না।

ব্যাংকের টাকাও ফেরত দিতে ভালো লাগে না। তাঁদের এই অনীহাকে অমৃতদানের জন্য কতিপয় নীতিনির্ধারক রাতের ঘুম হারাম করে ফেলেছেন। এভাবে চললে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক রেটিং আরও নামবে। একটি দেশ উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব-জিডিপি হার বাড়াতে থাকে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে ভবিষ্যতে রাজস্ব-জিডিপি হার শতকরা ২০–এর ওপরে তোলা হবে।

এটি যে কবে হবে, তা বোঝা গেল না। প্রবণতা বরং উল্টোমুখী। অর্থবছর ২০১৩-এর বাজেটে রাজস্ব ছিল জিডিপির শতকরা ১৩ দশমিক ৫ ভাগ, যা বাড়ার পরিবর্তে দিন দিন কমে সর্বশেষ ২০২৩–এর বাজেটে ৯ দশমিক ৮ ভাগে নেমেছে। অর্থনীতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাজেট সক্ষমতার নিম্ন গমন অনেকটা স্বাস্থ্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার মতো ঘটনা। ডাক্তার না বদলালে রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়বে। রেটিং আরও পড়তে পারে।

এসঅ্যান্ডপিও সাম্প্রতিক মূল্যায়নে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি আউটলুক বা দৃষ্টিভঙ্গি ‘স্টেবল’ বা সুস্থির থেকে নামিয়ে ‘নেগেটিভ’ বা ঋণাত্মক করে দিয়েছে। এটি মুডিসের চেয়েও হতাশাজনক। কারণ, আমরা কেউই বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষৎকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে চাই না।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলোও ২০২৩–এর ৪০৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে ২০৪০ সালের মধ্যে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হিসেবে দেখতে চায়, যদিও এটি করতে গেলে ব্যাংকিং খাত ও রাজস্ব খাত নিয়ে তাদের কর্তব্যকর্মের রূপরেখা পাওয়া যায়নি। এসঅ্যান্ডপির দৃষ্টিভঙ্গি ‘পজিটিভ’ হওয়া মানে দেশটির ভবিষ্যৎ রেটিং সামনে বাড়বে, ‘স্টেবল’ হওয়া মানে এটি আপাতত স্থিতিশীলতা পেয়েছে, যা থেকে দেশটি উঠতেও পারে, নামতেও পারে। আর ‘নেগেটিভ’ হওয়া মানে ভবিষ্যতে দেশটির মান কমার সম্ভাবনায় আক্রান্ত। কেন এই কালো মেঘ?

সংস্থাটি বাংলাদেশের ‘টুইন ডেফিসিট’ বা যমজ ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। রাজস্ব ঘাটতি ও বাণিজ্য ঘাটতির সম্মিলিত আগ্রাসন অর্থনীতির জন্য সংকটজনক। আশির দশকে প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের সময় মার্কিন অর্থনীতিতে এই যুগল ঘাটতি মাথাচাড়া দেয়। কারণ, ধনিকতুষ্টির রিপাবলিকান রাজনৈতিক দর্শন বড়লোকদের জন্য ব্যাপক হারে কর কমিয়েছিল।

এতে রাজস্ব আয় গেল কমে। এই ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারকে ব্যাংকঋণ নিতে হয়, যা আবার সুদহার বাড়িয়ে দেয়। সুদহার বৃদ্ধি বিদেশি বিনিয়োগ এনে দেশীয় মুদ্রা বা ডলারের মান বাড়ায়, যা রপ্তানি কমিয়ে ও আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতিকে আরও স্ফীত করে। বেশি বাণিজ্য ঘাটতি সরকারের রিজার্ভ কমায় ও ঋণ বাড়ায়, যা আবার রাজস্ব অক্ষমতাকে প্রকটতর করে। এভাবে যুগল ঘাটতি একটি আরেকটিকে ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগের মতো তীব্রতর করে। নব্বই দশকের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন মার্কিন অর্থনীতিকে এই যুগল রোগ থেকে মুক্ত করেছিলেন, যা ছিল ডেমোক্র্যাটদের বড় সাফল্য।

দুর্বলতাকে স্বীকৃতি দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে লজ্জার কিছু নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক বরং বলতে পারত যে, রেটিং এজেন্সিগুলো যে সকল দুর্বলতা বা ঘাটতির কারণে আমাদের মান পতন ঘটিয়ে নেতিবাচক ভবিষ্যতের তিলক দিয়েছে, সেগুলোর সব কটির নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।

এসঅ্যান্ডপির কাজ নিয়ে বিবির মন্তব্য ও বাস্তবতা

এসঅ্যান্ডপির ‘নেগেটিভ আউটলুক’ পাওয়ার পর এবার আর গভর্নর এটিকে ‘জিওপলিটিক্যাল’ বলে মন্তব্য করেননি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বা বিবির মুখপাত্র এটি নাকি দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে না, এমন দাবি করেছেন। একটি জ্ঞানভিত্তিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে এ ধরনের মন্তব্য পেশাদারত্ব বা অর্থনীতি জ্ঞানের পরিচয় দেয় না।

মুখপাত্র আরও দাবি করেন যে অর্থনীতির ‘ফান্ডামেন্টালস’ বা মৌলিক ধারকগুলো নাকি ‘খুব শক্ত’ অবস্থানে আছে। খুব শক্ত অবস্থানে থাকলে ওরা ‘নেগেটিভ আউটলুক’ দিল কেন? আগে তো দেয়নি। প্রধান যে তিনটি বিষয়ের কথা ওরা উল্লেখ করেছে, সেগুলো হচ্ছে প্রবৃদ্ধি হ্রাস, রাজস্ব ক্ষমতার পতন ও বাহ্যিক তারল্যে অসচ্ছলতা বা রিজার্ভ ঘাটতি। এটি তো পাত্রী দেখার মতো বিষয় নয় যে কারও কনে পছন্দ হয়, কারও হয় না। এগুলোর পেছনে তো গাণিতিক সত্যতা আছে।

কয়েক বছর আগে ৮ ভাগের ওঠা প্রবৃদ্ধির দেশ এখন ৬ ভাগে নেমেছে। কেন নেমেছে, সেটার পেছনে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে। গত ১০ বছরে রাজস্ব ক্ষমতা জিডিপির অংশ হিসাবে নেমে গেছে, যেখানে তা ওঠার কথা ছিল। এর পেছনে ধনিকতুষ্টি, দুর্নীতি, নাকি অর্থ মন্ত্ণালয়ের অদক্ষতা—কোনটি বড় কারণ, সেটা আরেক আলোচনার বিষয়। ২০১৩ সালে ১০০ টাকার বাজেটে ঘাটতি ছিল ২৩ টাকার। ২০২৩ সালে এই ঘাটতি ৩৪ টাকায় উঠেছে, যা আরও কমার কথা ছিল। বহিঃখাতের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ ২০২১–এর আগস্ট থেকে প্রায় ৫০ ভাগ কমে গেছে গত দুই বছরে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। এই সব তথ্য বিবিই আমাদের অবহিত করেছে। তাহলে ‘ফান্ডামেন্টালস’ খুব শক্ত অবস্থানে থাকে কী করে?

দুর্বলতাকে স্বীকৃতি দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে লজ্জার কিছু নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক বরং বলতে পারত যে, রেটিং এজেন্সিগুলো যে সকল দুর্বলতা বা ঘাটতির কারণে আমাদের মান পতন ঘটিয়ে নেতিবাচক ভবিষ্যতের তিলক দিয়েছে, সেগুলোর সব কটির নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।

যেমন রাজস্ব ব্যর্থতা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। বাকি যেগুলোর নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে আছে, সেগুলোর উন্নয়নে আমরা তৎপর।’ এটি হতে পারত বিবির উত্তর, যা আসলেই সত্য এবং পেশাদারত্বের পরিচায়ক। বিবি যে রিজার্ভ বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে, এটা তো সত্যি। যদিও কৌশলে অপর্যাপ্ততা আছে। বিবি সুদের হারের ছাদ ভেঙেছে, বিনিময় হারকে কিছুটা বাজারভিত্তিক করেছে, বিলাসী আমদানি কমিয়েছে। এই মাপের তৎপরতার একাংশও অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেখা যায় না। তাঁরা করবৃদ্ধির কথা উঠলেই গরিব আর মধ্যবিত্তের দিকে শনির দৃষ্টি দেন। ধনীকে রাখেন আদরে, বৃহস্পতির তুঙ্গে।

রেটিং এজেন্সিগুলোর গ্রেডিং নিয়ে হালকা মন্তব্য করা বা হেসে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ কম। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ওদের রেটিং না দেখে কক্ষনো কোনো দেশে বিনিয়োগ করবে না।

সবগুলো এজেন্সি সতর্ক করেছিল শ্রীলঙ্কাকে। প্রেসিডেন্ট পাত্তা দেননি। রাজাপক্ষে জাতিকে কৃষ্ণপক্ষে ফেলে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছেন। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাও হেসে উড়িয়ে দেননি ২০১১ সালের ৫ আগস্ট যখন রেটিং এজেন্সি এসঅ্যান্ডপি যুক্তরাষ্ট্রের রেটিং সর্বোচ্চ সম্ভব ‘ট্রিপল এ’ থেকে ‘ডাবল এ-প্লাস’-এ নামিয়ে দেয়। সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। মওকা বুঝে বিরোধীরা বলল ‘আমেরিকার মান-ইজ্জত হরণকারী প্রেসিডেন্ট নেমে যান।’

তিন দিন পর প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউস থেকে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন যে ‘অবশ্যি আমেরিকা ক্রেডিটের বিচারে পৃথিবীর বুকে এখনো সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। তবে রাজস্ব খাতে উৎকণ্ঠিত হওয়ার কিছু বিষয় আছে, যা মোকাবিলা করে আমরা আমেরিকাকে আরও শক্তিশালী করব।’

পাত্তা না দেওয়া কিংবা একে ‘চক্রান্ত’ বা ‘হিংসা’ বলে আখ্যায়িত করার কোনো প্রবৃত্তি প্রেসিডেন্ট ওবামার মধ্যে থাকলে তিনি বিশ্ববাসীর উদ্দেশে এই বার্তা দিতেন না। তিনি বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছিলেন। আমাদের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যেও এই জ্ঞানভিত্তিক জবাবদানের সংস্কৃতি বাড়াতে হবে। সমস্যা বুঝতে পারার মধ্যেই সমাধানের বীজ নিহিত। দুর্বলতা বুঝতে পারাই শক্তি সঞ্চয়ের প্রথম শর্ত।

  • ড. বিরূপাক্ষ পাল যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট কোর্টল্যান্ডে অর্থনীতির অধ্যাপক