- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:৩৭
বিশ্বকাপের রেকর্ড রান দক্ষিণ আফ্রিকার, রেকর্ড গড়েই জিততে হতো শ্রীলঙ্কাকে। করতে হতো অস্বাভাবিক কিছু। যদিও তেমন কিছু করা হয়নি, তবে একেবারে হাল ছেড়ে দেয়নি লঙ্কানরা। লড়াই করেছে সম্মিলিতভাবে। তবুও শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। হেরেছে ১০২ রানে।
শনিবার শ্রীলঙ্কার সামনে ৪২৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে এত বড় সংগ্রহ দেখেনি বিশ্বকাপ। ভারতের দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে তিন সেঞ্চুরিতে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়ায়া। যা তাড়া করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ৩২৬ রানেই থেমেছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড বইয়ে তোলপাড় করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লঙ্কান বোলারদের দর্শক বানিয়ে ছেড়েছে তারা। অবশ্য আফ্রিকান ব্যাটারদের এমন রূপ তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কী করার ছিল!
এসেছে তিন-তিনটা সেঞ্চুরি। ৫ উইকেটে ৪২৮ রান তুলে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটাও নিজেদের দখলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শতক হাঁকিয়েছেন কুইন্টন ডি কক, ভেন ডুসেন ও এইডেন মার্করাম।
এদিন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলেন মার্করাম, ৪৯ বলে শতক তুলে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বিশ্বকাপ ইতিহাসে তার চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি করতে পারেনি আর কেউ। আউট হওয়ার আগে করেন ৫৪ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৬ রান।
শুরুটা অবশ্য হয়েছিল মাত্র ১০ রানে বাভুমাকে হারিয়ে। আফ্রিকান অধিনায়ক আউট হন দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৮ রান করে। এরপর চিত্রনাট্যই বদলে দেন কুইন্টন ডি কক ও ভেন ডুসেন। তারা গড়েন ১৮০ বলে ২০৪ রানের জুটি, দু’জনেই স্পর্শ করেন শতক। ৮৪ বলে ১০০ করে ডি কক আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ডুসেন থামেন ১১০ বলে ১০৮ রান করে।
তবে ততক্ষণে শতকের নেশা পেয়ে গেছে মার্করামকে। চারে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাট করতে শুরু করেন এই ব্যাটার। ক্লাসেনের সাথে ৩৮ বলে ৭৮ ও ডেভিড মিলারের সাথে করেন ২৪ বলে ৪১ রানের জুটি। ৪৯ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক ছুঁয়ে থামেন তিনি। ক্লাসেন করে ২০ বলে ৩২ রান। মিলার অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৩৯ রানে। জানসেন করেন ৭ বলে ১২।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ১ রানেই পাথুম নিশানকাকে হারায় লঙ্কানরা। ৩ বলে ০ রানে ফেরেন তিনি। ১৫ বলে ৭ করে ফেরেন আরেক ওপেনার কুশল পেরেরা। ১৯ বলে ২৬ করে ফেরেন সামিরা সামারাবিক্রমা। দ্রুত ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ১৪ বলে ১১ করেন তিনি।
তবে ইনিংসটা এগিয়ে নিয়ে গেছেন কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা। ৭৫ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন তারা, হয়ে উঠেন বিধ্বংসী। তবে ইনিংসটা তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি। মেন্ডিস আউট হন ৪২ বলে ৭৬ রানে এবং আসালাঙ্কার ব্যাটে আসে ৬৫ বলে ৭৯ রান।
দু’জনে ফেরার পর জ্বলে ওঠেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কাসুন রাজিথার সাথে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন। আউট হওয়ার আগে ৬২ বলে করেন ৬৮ রান। রাজিথার ব্যাটে আসে ৩১ বলে ৩৩ রান। এতে ৩০০ রানের মাইলফলক পাড়ি দেয় শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৫ ওভারে এসে অলআউট হয় তারা।
৩ উইকেট নেন জর্জে কোয়েটজে। ২টি করে উইকেট পান রাবাদা, জানসেন ও কেশভ মহারাজ।