
প্রথম দুই ম্যাচ শেষে জমে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। ১-১ জয়ে শেষ ম্যাচটা রূপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটাও জমে উঠে, যদিও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে অজিরা।
কেয়ার্নসের ক্যাজেলিস স্টেডিয়ামে এবারই প্রথম গড়ায় কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। উপলক্ষ্যটা ২ উইকেটের জয়ে রাঙাল স্বাগতিকেরা। সেই সাথে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিলো ২-১ ব্যবধানে।
২০০৯ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একাধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বাজে এই রেকর্ড ভাঙতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭২ রানের বড় পুঁজি গড়ে প্রোটিয়ারা।
কিন্তু দারুণ লড়াই করেও ১ বল বাকি থাকতেই সেই সুযোগ হয়েছে হাতছাড়া। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে দলকে দারুণ জয় এনে দেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৬ বলে অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংসে দূর করেন সব শঙ্কা।
রান তাড়ায় ঝড়ো ফিফটিতে সুর বেঁধে দেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ট্রাভিস হেডকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভারে ৬৬ রান এনে দেন তিনি। হেড ফেরেন ১৮ বলে ১৯ করে। এরপর দ্রুত আরো ৩ উইকেট হারায় অজিরা।
কোনো রান যোগ করার আগের ফেরেন জশ ইংলিশ আর ক্যামেরন গ্রিন ফেরেন ৮ বলে ৯ করে। তবে বড় ধাক্কাটা আসে মাঝে মার্শ ৩ চার ৫ ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৪ করে আউট হলে। ১১ ওভার শেষে স্কোর ৮৮/৪।
টিম ডেভিড জ্বলে উঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ৯ বলে ১৭ রানেই শেষ হয় তার দৌড়। আর অ্যারন হার্ডি ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। তবে ততক্ষণে হাল ধরে ফেলেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। করেন অবিশ্বাস্য ব্যাটিং।
১২২ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার বেন ডোয়ারশুইসকে নিয়ে ২৯ বলে ৪১ রান যোগ করেন ম্যাক্সওয়েল। যেখানে ডোয়ারসুইশের অবদান মাত্র ১ রান! এরপর আবার নাটক। ২৯ বলে ৪১ রান আসে জুটিতে।
১৯তম ওভারে আবারো ছড়ায় রোমাঞ্চ। করবিন বশ পরপর দুই বলে ডোয়াসুইশ ও নাথান এলিসকে ফিরিয়ে দেন। আসে মাত্র ২ রান। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ রানের।
শেষ ওভারে এনগিডির প্রথম বলে ২ আর দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন ম্যাক্সওয়েল। পরের দুই বলে কোনো রান আসেনি। তবে পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে টানেন ম্যাচের ইতি। ইতোমধ্যে তুলে নেন ফিফটিও।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে (১) হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন নম্বরে নেমে পাঁচটি চার মেরে শুরুটা ভালো করেন লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস।
পঞ্চম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসে এই তরুণ ব্যাটসম্যানকে (১৫ বলে ২৩) ফেরান নাথান এলিস। আর ১৩ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন রায়ান রিকেলটন। ৭ ওভারে ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন ব্রেভিস। আগের ম্যাচে ৮ ছক্কায় ৫৬ বলে অপরাজিত ১২৫ রানের ইনিংস খেলা তরুণ এবার ৬ ছক্কায় করেন ২৬ বলে ৫৩ রান। ট্রিস্টান স্টাবস (২৫) এর সাথে গড়েন ২৯ বলে ৬১ রানের জুটি।
এরপর রাসি ফন ডার ডাসেনের ৬ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের সুবাদে ১৭২ পর্যন্ত যেতে পারে সফরকারীরা। বল হাতে নাথান এলিস নেন ৩ উইকেট। জোড়া উইকেট করে নেন জাম্পা ও হ্যাজলউড।