- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:১৯
রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার ম্যাচ মানেই তো মহারণ। আর তা যদি হয় কোনো ফাইনাল ম্যাচ, তবে তা নিয়ে উত্তেজনা ও উত্তাপ নিঃসন্দেহে বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তেমনি এক ম্যাচে গতরাতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এই মৌসুমের স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। যেখানে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এবারের স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে তুলেছে জাভির বার্সেলোনা। এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে দু’বছরের শিরোপাখড়া কাঁটাল কাতালানরা।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর ১০ মিনিটেই গোল করার প্রথম সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা। দুর্দান্তভাবে বালদে ও গাভির তৈরি করা সেই সুযোগ একটুর জন্য কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন লেভানডস্কি।
ঘটনার ২ মিনিট পরই ফের আক্রমণে যায় বার্সা, এবার রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষক হিসেবে আবির্ভূত হন গোলরক্ষক থিবু কর্তুয়া, ঠেকিয়ে দেন লেভানডস্কির শট। বার্সেলোনার আধিপত্যের মাঝে ১৮তম মিনিটে সুযোগ তৈরি করে রিয়াল মাদ্রিদও। তবে বেনজেমার হেডার গোলপোস্ট ঘেঁষে মাঠের বাইরে চলে যায়।
ম্যাচের প্রথম গোল আসতে সময় লাগে ৩৩ মিনিট, এবার রবার্ট লেভান্ডস্কির বাড়িয়ে দেয়া বল জালে জড়িয়ে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন পাবলো গাভিরা। এগিয়ে যাবার পরও একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে বার্সেলোনা, তার ফলাফল আসে প্রথমার্ধের পূর্বেই। ৪৩তম মিনিটে গাভির করা এসিস্টে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। ফলে ২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
বিরতির পরও প্রথমার্ধের ছন্দ বজিয়ে রেখে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর একাধিক সুযোগও পায় তারা। তবে প্রতিবারই বাধা হয়ে দাঁড়ান রিয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার থিবু কর্তুয়া। অবশেষে ৭০তম মিনিটে আরো একটি গোল পায় বার্সেলোনা। রিয়াল মাদ্রিদের সেন্টারব্যাক মিলিতাও এর ভুলকে কাজে লাগিয়ে বল জালে জড়িয়ে ম্যাচের ফলাফল ৩-০ করেন পেদ্রি।
তিন গোল হজমের পর ৮০তম মিনিটে রদ্রিগো ব্যবধান কমিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে ম্যাচে ফেরাতে পারতেন, তবে তা ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগান। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ গোল পায়, তবে বেনজেমার করা সান্ত্বনাসূচক সেই গোল শুধুমাত্র ম্যাচের ব্যবধানই কমায়। রেফারির খেলা শেষ হওয়ার বাঁশি বাজার সাথে সাথেই এই মৌসুমের স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার।
ম্যানেজার হিসেবে বার্সেলোনার হয়ে কিংবদন্তি মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজের এটি প্রথম শিরোপা। তাছাড়া এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে দু’বছরের শিরোপাখড়া কাঁটাল কাতালানরা।