ঢাকা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের (১৭) রিমান্ড বাতিল করেছেন আদালত। রোববার ফাইয়াজকে শিশু হিসেবে দাবির স্বপক্ষে বয়স প্রমাণ হিসেবে এসএসসি পরীক্ষা ও জন্মসনদ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত তার রিমান্ড স্থগিত করেন। সেইসঙ্গে বয়স নির্ধারণের বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতে মামলাটি পাঠানো হয়। এরপর শিশু আদালত আজ রোববার শুনানি শেষে ফাইয়াজকে শিশু হিসেবে ঘোষণা করেন এবং রিমান্ড বাতিল করে তাকে গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের এক সদস্য হত্যা মামলায় ফাইয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) হাজির করে পুলিশ। পরে তাকেসহ ৬ জনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। শুনানির সময় তার আইনজীবী আদালতে বলেন, তার মক্কেল কিশোর। জন্মসনদ অনুযায়ী বয়স ১৭ বছর। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ওই কিশোরসহ ছয়জনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের আইনজীবী ইশতিয়াক হোসেন জিপু বলেন, ফাইয়াজকে বুধবার যাত্রাবাড়ী থানায় আটক রাখা হয়। চারদিন ডিবি কার্যালয়ে রাখার পর শনিবার তাকে সিএমএম আদালতে তোলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হলে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে সমকালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আজ শিশু আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আমরা তাকে শিশু হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতেও আমরা আদালতে ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।
ইশতিয়াক হোসেন জিপু ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর কাছে আজ আবেদন করে বলেন যে, তার মক্কেল কিশোর। আইন অনুযায়ী, একজন কিশোরকে রিমান্ডে নেওয়ার সুযোগ নেই। রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পরে ওই কিশোরকে আদালতে হাজির করা হয়। কিশোরের জন্মসনদসহ সব তথ্য পর্যালোচনা করেন আদালত। পরে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ স্থগিত করে তাকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বুধবার রাতে যাত্রাবাড়ীর বাসা থেকে ফাইয়াজকে আটক করে পুলিশ।
samakal