. বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে চুরির আট বছর পূর্ণ হয়েছে। চুরির বছরই স্বেচ্ছায় সামান্য অংশ ফেরত পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাকি অর্থ ফেরত পেতে ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা চলছে। মামলা পরিচালনায় আইনজীবী ও আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠানের ফি বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ হচ্ছে। তবে অর্থ ফেরত বা চলমান মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের প্রস্তাবেও সাড়া নেই ফিলিপাইনের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ফিলিপাইন থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অর্থ ফেরত না পেয়ে পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ। গত বছরের জানুয়ারিতে সমঝোতায় অর্থ আদায়ের একটি রায় দেন দেশটির আদালত। সমঝোতার জন্য গত বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনে যায় বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়। তারা দেশটিতে চলমান বিভিন্ন মামলায় তিনটি আদালতে সাক্ষ্য দেন। তবে সমঝোতায় সাড়া মেলেনি। আবার ফিলিপাইনের আদালত থেকে কোনো রায় হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেও কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে আদৌ অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে, নাকি মামলা পরিচালনায় বছরের পর বছর শুধু অর্থ খরচ করতে হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
মামলার বিষয়ে বাংলাদেশের আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান কোজেন ও’কনর বিবাদীদের নোটিশ দেয়। এরপর আরসিবিসি, অভিযুক্ত ব্যক্তি লরেঞ্জ ভি টান, রাউল টান, সোলায়ের ক্যাসিনো, ইস্টার্ন হাওয়ায়ে এবং কিম অং যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ‘মোশন টু ডিসমিস’ বা মামলাটি না চালানোর অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করে। তাদের আবেদনের বিষয়ে ২০২১ সালের ১৪ জুলাই ও ১৪ অক্টোবর শুনানি হয়। ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল আংশিক রায় হয়। গত বছরের ১৩ জানুয়ারি ছয় বিবাদীর ‘মোশন টু ডিসমিস’ বা মামলা না চালানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে গতবছরের ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরসিবিসিসহ অন্য বিবাদীদের মধ্যস্থতার নির্দেশ দেন স্টেট কোর্ট। তবে সমঝোতায় সাড়া দেয়নি ফিলিপাইন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেও পরে কোনো শুনানি হয়নি।
সমকাল








